Kunal Ghosh: 'পুরুষকে মহিলা দেখছে, মহিলাকে পুরুষ দেখছে শুভেন্দু', বিস্ফোরক কুণাল
Kunal Attacks Suvendu: ‘স্পর্শ’ নিয়ে সংঘাত এবার গড়াল ব্যক্তিগত কাদা ছোড়াছুড়িতে। শুভেন্দুর ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’ মন্তব্য, পাল্টা বেলাগাম আক্রমণে কুণাল।
কলকাতা: ‘স্পর্শ’ নিয়ে সংঘাত এবার গড়াল ব্যক্তিগত কাদা ছোড়াছুড়িতে। শুভেন্দুর ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’ মন্তব্য, পাল্টা বেলাগাম আক্রমণে কুণাল। দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণে শুভেন্দু, পাল্টা বেলাগাম কুণাল। স্পর্শ-সংঘাতে শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) বেলাগাম আক্রমণ করলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
শুভেন্দু অধিকারীকে পাল্টা তীব্র আক্রমণ করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, 'জ্ঞানবন্ত ছিলেনই না, ভূত দেখছেন শুভেন্দু অধিকারী। পুরুষকে মহিলা দেখছে, মহিলাকে পুরুষ দেখছে শুভেন্দু।' ঘটনার দিন শুভেন্দুি বলেন, 'আপনার লেডি অফিসার আমার গায়ে হাত দিয়েছে। ও কেন আমার গায়ে কেন হাত ধরবে! ছবিগুলো থাকল।' তাঁকে গ্রেফতার করা হোক, দাবি তোলেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা, বিধায়কের রাস্তা আটকে পুলিশ মস্করা করছে বলেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। এখানেই শেষ নয়, এক মহিলা পুলিশ অফিসার এসে তাঁকে পিছু হটতে বলতেই ক্ষোভ উগরে দেন। মহিলা পুলিশ কেন তাঁর গায়ে হাত দিচ্ছেন, প্রশ্ন তোলেন। শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, 'আমার শরীর স্পর্শ করবেন না। আপনি মহিলা, আমি পুরুষ। আপনার সিনিয়রকে ডাকুন।' ওই মহিলা পুলিশ আধিকারিক বলতে থাকেন, 'আমি স্পর্শ করছি না। আপনি চলুন।'
আরও পড়ুন, 'ওনাকে পুরুষ পুলিশ মেরেছে', মীনাদেবীকে হাসপাতালে দেখতে এসে বিস্ফোরক শুভেন্দু
প্রসঙ্গত, নবান্ন অভিযানে গত মঙ্গলবার তোলপাড় হয় হাওড়া-কলকাতা। অবস্থান বিক্ষোভের মাঝেই সুকান্তদেরকে প্রিজনভ্যানে তুলেছে পুলিশ। নবান্ন অভিযানের আগে শুভেন্দু অধিকারীকে আটক করার প্রতিবাদে লালবাজারের সামনে বিক্ষোভে নামে বিজেপি। লাঠিচার্জ করে জমায়েত ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের দিকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। এহেন মুহূর্তে সেদিন রাতে টুইট করে গুরুতর অভিযোগ তুলে ফের তোপ দাগেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ভিডিওবার্তায় শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, 'মঙ্গলবার ১২ টা ৩০ নাগাদ, ১৪৪ ধারার বাইরে, হেস্টিং থানা এলাকায়, দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজে ঢোকার মুখে, পশ্চিমবঙ্গের সিনিয়র আইপিএস অফিসার জ্ঞানবন্ত সিংহ, সাথে কলকাতা পুলিশের সূর্যপ্রসাদ যাদব এবং আকাশ মেঘারিয়া , তিনজন আইপিএস অফিসারের নের্তৃত্বে কিছু মহিলা কনস্টেবল আমাকে শারীরিক নিগ্রহ (Physically assulted) করে এবং গ্রেফতার করে। সেখান থেকে লকেট চট্টোপাধ্য়ায়, রাহুল সিনহা, আমাদের তিনজনকে লালবাজারে আনা হয়। এবং অ্য়ারেস্ট হিসেবে দেখানো হয়। ১৫১ সেকশনে হেস্টিংস থানার আইও, তিনি আমাদের প্রথমে অ্য়ারেস্ট মেমোতে সই করেন। এবং অন্যান্য কাগজে সই করেন।'