Kolkata News: পুজোর মুখে ভয়ঙ্কর বৃষ্টিতে জলে ভাসল কলকাতা, দিনভর একাধিক ট্রেন বাতিল, নাকাল যাত্রীরা
Eastern Railway: দুর্যোগে বিপর্যস্ত রেল পরিষেবা, কী বলছেন শিয়ালদা ডিভিশনের সিনিয়র DCM ?

অরিত্রিক ভট্টাচার্য, সুনীত হালদার ও গৌতম মণ্ডল,কলকাতা: পুজোর মুখে ভয়ঙ্কর বৃষ্টিতে জলে ভাসল কলকাতা। জল জমল শিয়ালদা স্টেশনে। প্রভাব পড়ল ট্রেন চলাচলে। ট্রেন না পেয়ে নাকাল হলেন যাত্রীরা। কোথাও দীর্ঘক্ষণ স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকল ট্রেন!আবার প্রাণ হাতে করে যাতায়াত করতেও দেখা গেল! কেউ ভোগান্তি সহ্য করতে না পেরে মাঝপথেই নেমে গেলেন ট্রেন থেকে।
আরও পড়ুন, মৃত্যু মিছিল-জল যন্ত্রণায় জর্জরিত কলকাতা, দিনভর ভোগান্তির ভয়াবহ ছবি গোটা শহরজুড়ে
৫ ঘণ্টার বৃষ্টিতে ডুবল কলকাতা। পুজোর মুখে রেকর্ড বৃষ্টিতে কলকাতার ভয়ঙ্কর অবস্থা। রাস্তায় সার দিয়ে বিকল গাড়ির একের পর এক ছবি। বাড়ি-গাড়ি-হাসপাতাল নিস্তার পেলনা কিছুই!জল থইথই চারদিক রেললাইনে জলের জেরে সকাল থেকে ভুগতে হল হাজার হাজার যাত্রীকে! এদিন সকালে এটাই ছিল শিয়ালদার ছবি! জলমগ্ন প্রত্যেকটি প্লাটফর্ম!ব্যাপক প্রভাব পড়ে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার ট্রেন চলাচলে। প্রবল বৃষ্টিতে সকালে দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এক আত্মীয়ের অপারেশন রয়েছে। সাত সকালে শিয়ালদার উদ্দেশে বেড়িয়েছিলেন ডায়মন্ডহারবারের বাসিন্দা আমিনুদ্দিন মোল্লা। কিন্তু ট্রেন না থাকায় আটকে যান। ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা আমিনুদ্দিন মোল্লা বলেন, সঠিক বলতে পারছি না কতক্ষণে ট্রেনটা ঢুকবে। কোন পজিশনে ট্রেনগুলো রয়েছে আমরা তো সঠিক খবর পাচ্ছি না। লিলুয়ায় হাসপাতালে যাব। রোগী আছে। অপারেশনের ব্যাপার আছে।
জরুরি কাজে সোনারপুরে বাড়ি ফিরছিলেন প্রদ্যোৎ পণ্ডিত। আটকে পড়েন তিনিও।
সোনারপুরে বাসিন্দা প্রদ্যোৎ পণ্ডিত বলেন, ১ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি। সোনারপুর যাব। কোনও ট্রেন পাচ্ছি না। সমস্যায় পড়ে আছি। সোনারপুর স্টেশনের ছবিটা ছিল মারাত্মক! দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকার পর যখন শিয়ালদাগামী ট্রেন এসে দাঁড়াল তখন এই ছিল তার অবস্থা! তার মধ্যেই কয়েকজনকে দেখা গেল এইভাবে প্রাণ হাতে ট্রেনে উঠতে! ভুক্তভোগী রেল যাত্রী আল্পনা ঘোষ বলেন, ১ ঘণ্টা হয়ে গেছে ট্রেন দাঁড় করিয়ে রেখে দিয়েছে। শিয়ালদা তো যাচ্ছেই না, কিন্তু বালিগঞ্জ অবধি যাবে, তাও ১ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছে ট্রেন।
শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার পাশাপাশি বৃষ্টির জেরে মেন লাইনেও লোকাল ট্রেন কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। চরম হয়রানির মুখে পড়েন অফিস যাত্রীরা! ভুক্তভোগী রেল যাত্রী চন্দন সেন বলেন, আজকে ট্রেন প্রচুর লেট রয়েছে। এখনও পর্যন্ত নৈহাটিতে আটকে রয়েছি। তো এখন এই ট্রেন কখন ছাড়বে জানি না। তাই এখন নেমে যাচ্ছি। নেমে গিয়ে এখন তাহলে রিটার্ন করছি। আর কিছু করার নেই। হাওড়ার একাধিক শাখাতেও ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়। ভুক্তভোগী রেল যাত্রী জয়ন্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল অবস্থা। কারও অফিস আছে, কারও স্কুল আছে। আমরা প্রত্যেকে খুব সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি।
শিয়ালদা ডিভিশন সিনিয়র DCM যশরাম মীনা বলেন, ভারী বৃষ্টির কারণে আমাদের রেল পরিষেবা কিছুক্ষণ বন্ধ রাখতে হয়েছে। বালিগঞ্জ, পার্ক সার্কাসে ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি বৃষ্টির ফলে শিয়ালদা স্টেশন থেকে ট্রেন চালানো সম্ভব হচ্ছিল না। মেন লাইনেও আমরা কিছুক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছিলাম। তবে ধীরে ধীরে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। একাধিক লোকাল ট্রেনের পাশাপাশি এদিন আপ কলকাতা-হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস, আপ কলকাতা-হলদিবাড়ি এক্সপ্রেস।শিয়ালদা-জঙ্গিপুর এক্সপ্রেস বাতিল করে দেওয়া হয়।






















