Baguiati Murder: বারবার সিম বদল, লোকেশন অধরা মূল অভিযুক্তর, বাগুইআটিকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য
Baguiati Double Murder: বাগুইআটি জোড়া খুনের ঘটনায় বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। খুনের ঘটনার ব্যবহার করা গাড়ির আজই হবে ফরেন্সিক পরীক্ষা। সিআইডি-র নজরে এই মুহূর্তে বাসন্তী হাইওয়ে।
কলকাতা: বাগুইআটিকাণ্ডে ( Baguiati Double Murder Case) চাঞ্চল্যকর তথ্য। এখনও বাগুইআটি জোড়া খুনের দু’ সপ্তাহ পরেও অধরা মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী। জানা গিয়েছে, পরপর মেসেজ করেছে, তা সত্ত্বেও লোকেশন ট্র্যাক করা যায়নি। কারণ বারাবার সিম বদল করায়, লোকেশন ধরা যাচ্ছে না বলে দাবি তদন্তকারী আধিকারিকদের। পরিবার সূত্রে দাবি, অতনুর এক বন্ধুর কাছে প্রথম মুক্তিপণের জন্য হুমকি মেসেজ আসে ২৪ অগাস্ট। সেখানে এরপর সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখ অতনুর বাবার কাছে মেসেজ আসে। মেসেজে বলা হয়, ছেলের মৃতদেহ ডানকুনি থেকে নিয়ে নিতে।
বাগুইআটিকাণ্ডে তদন্তে সিআইডি-র হোমিসাইড শাখা
বাগুইআটিকাণ্ডে তদন্ত করবে সিআইডি-র হোমিসাইড শাখা। সঙ্গে থাকবেন স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের অফিসাররা। নেতৃত্বে আইজি পদমর্যাদার অফিসার। যে গাড়িতে দুই কিশোর অতনু ও অভিষেককে খুন করা হয় বলে অভিযোগ, সেই গাড়ির আজ ফরেন্সিক পরীক্ষা হবে। অন্যদিকে, বাগুইআটিকাণ্ডে আইসি কল্লোল ঘোষ ও তদন্তকারী অফিসার এসআই প্রীতম সিংকে সাসপেন্ড করার পর গতকাল বাগুইআটি থানার নতুন আইসি (IC) হলেন শান্তনু সরকার। গতকাল রাতেই তিনি দায়িত্বভার নেন। এর আগে এয়ারপোর্ট থানার আইসি (IC) ছিলেন শান্তনু সরকার।
দেহ দেখেও কেন খুন বলে সন্দেহ হয়নি পুলিশের, প্রশ্ন উঠেছে
উল্লেখ্য, ২৫ অগাস্ট হাড়োয়ায় অভিষেকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তারপরে সেই দেহ উদ্ধারের কথা জানিয়ে থানায় থানায় বার্তা দেওয়া হয়। কিন্তু তার আগে, ২৩ অগাস্ট ন্যাজাটে অতনুর দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় অতনুর পচাগলা দেহ উদ্ধার হলেও কেন চুপ করে ছিল বসিরহাট থানা? কেন সেই কথা জানাল না বসিরহাট থানা? উঠছে সেই প্রশ্ন। পাশাপাশি অভিষেকের দেহ উদ্ধার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। হাড়োয়ায় ইট বাঁধা অবস্থায় অভিষেকের দেহ উদ্ধার হয়, সেখানে দেহ ভাসতে দেখা যায়। পরে দেখা যায় প্যান্ট দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে সেই প্যান্টে ইঁট বেঁধে রাখা হয়েছিল। যাতে জলের তলায় যাতে ডুবে থাকে দেহ।এভাবে দেহ দেখেও কেন খুন বলে সন্দেহ হয়নি পুলিশের, প্রশ্ন উঠেছে।
বাগুইআটি জোড়া খুনের দু’ সপ্তাহ পরেও অধরা মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী
বাগুইআটি জোড়া খুনের দু’ সপ্তাহ পরেও অধরা মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী। দুই কিশোরকে খুনের মোটিভ ঘিরেও ধোঁয়াশা।এই পরিস্থিতিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ নিহত কিশোর অতনু দে-র পরিবার ও প্রতিবেশীরা। অতনুর বাড়ির সামনে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। পুলিশকে আটকাতেই এই ব্যবস্থা, দাবি স্থানীয়দের।
আরও পড়ুন, চিটফাণ্ড মামলায় রাজু সাহানির হেফাজতের মেয়াদ শেষ, আজই তোলা হবে আদালতে
খুনের ঘটনার ব্যবহার করা গাড়ির আজ ফরেন্সিক পরীক্ষা
বাগুইআটিকাণ্ডে ধৃত ৩ জনের পুলিশ হেফাজত। ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ বারাসাত আদালতের। ৫০ হাজার টাকা এবং বাইক কেনা নিয়েই কি খুন ? শুধু এগুলির জন্য়ই বাগুইআটির ২ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী খুন? রয়েছে প্রশ্ন। পুলিশ সূত্রের খবর, ২২ অগাস্ট অপহরণের আগে ১৮ অগাস্ট নিউটাউনে গোপন বৈঠক করে অভিযুক্তরা। ধৃত অভিজিৎ, ভাড়াটে খুনিদের নিয়ে গোপন বৈঠক করে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র। সূত্রের খবর, ভাড়াটে খুনিদের টাকা দিয়ে সুপারিও দেয় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র। শুধু তাই নয়, ওই দুই ছাত্রকে অপহরণ করে খুনের জন্য গাড়ি ভাড়াও করে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র।যে গাড়িতে দুই কিশোর অতনু ও অভিষেককে খুন করা হয় বলে অভিযোগ, সেই গাড়ির আজ ফরেন্সিক পরীক্ষা হবে। ৫০ হাজার টাকার জন্যই খুন করতে চাইলে, তার জন্য কেন এত খরচ করল সত্যেন্দ্র? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে পুলিশ।