SSC Scam: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় আজ পার্থ-সহ ৭ জনকে আদালতে পেশ করবে সিবিআই
SSC Scam Partha Chatterjee in Court: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় আদালতে তোলা হবে পার্থ-সহ ৭ জনকে। পেশ করা হবে দুই মিডলম্যানকেও।
কলকাতা: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় আজ পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya)-সহ ৭ জনকে আদালতে (Court) পেশ করবে সিবিআই (CBI)। আলিপুর আদালতে তোলা হবে দুই মিডলম্যানকেও (Middleman)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, গত ১৪ দিনে তদন্তে যে নতুন তথ্য উঠে এসেছে, তা পেশ করেই পার্থ, সুবীরেশ, শান্তিপ্রসাদ সিন্হা-সহ ৭ জনের জামিনের বিরোধিতা করবে তারা।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডি-র (Enforcement Directorate) চার্জশিটে বিস্ফোরক তথ্য । 'বেসরকারি বিএড, ডিএলএড ও টিচার্স ট্রেনিং কলেজকে এনওসি (NOC) দিতে টাকা নিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কলেজ প্রতি ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা করে নিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।' এমনই দাবি করেছে ইডি। ইডি চার্জশিটে আরও দাবি করেছে, 'প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) পেতেন ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা করে। তাপস মণ্ডলই প্রাথমিকভাবে ফান্ড সংগ্রহ করতেন। পরে সেই ফান্ডের টাকা পাঠানো হত মানিক ভট্টাচার্যের কাছে। মানিকের মাধ্যমে সেই টাকা আবার পৌঁছে যেত উপরমহলে। অফলাইনে রেজিস্ট্রেশনের নামে মোট ২০ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে।'
'মানিক ঘনিষ্ঠ সঞ্চিতা ভট্টাচার্য এবং হীরালাল ভট্টাচার্যের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা জমা পড়েছে অন্য অ্যাকাউন্টে। মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য, ছেলে সৌভিকের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েছে। শেষমেশ সব টাকা জমা পড়েছে শতরূপা ভট্টাচার্য ও মানিক ঘনিষ্ঠ পান্নালাল ভট্টাচার্যর অ্যাকাউন্টে। যাদবপুর, গড়িয়া ও নদিয়ার কালীগঞ্জে মানিক ভট্টাচার্যর ৬টি স্থাবর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে।' চার্জশিটে এমনই উল্লেখ করেছে ইডি।আরও বলা হয়েছে, 'নিয়োগের ক্ষেত্রে পক্ষপাত ও স্বজনপোষণ লক্ষ্য করা গেছে। সন্দেহজনকভাবে তৈরি হয়েছিল অতিরিক্ত প্যানেল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন যোগ্য প্রার্থীরা, লাভবান হয়েছেন অযোগ্যরা। শুধু সাদা খাতা জমা দিয়েই অনেকে চাকরি পেয়ে গেছেন', বলে দাবি ইডির।
আরও পড়ুন, আজ পেট্রোল-ডিজেলের দামে হেরফের হল কি কলকাতায় ?
গ্রেফতারির ৫৮ দিনের মাথায় সম্প্রতি মানিক ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে ইডি। যে চার্জশিটে মানিক ভট্টাচার্যকে দুর্নীতির কিংপিন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, চার্জশিটে নাম রয়েছে মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য ও পুত্র সৌভিক ভট্টাচার্যেরও। পাশাপাশি খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে কীভাবে জড়িত ছিলেন মানিক? কীভাবে রেজিস্ট্রেশনের নামে বেসরকারি ডিএলএড কলেজ থেকে টাকা নেওয়া হত? মানিক ভট্টাচার্যর ছেলে সৌভিকের সংস্থা কীভাবে লাভবান হয়েছে? এই সমস্তের উল্লেখ রয়েছে ১৫০ পাতার চার্জশিটে। প্রসঙ্গত, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে স্কুল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলেছিল CBI। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে ‘কিংপিন’ আখ্যা দেয় ED।