Newtown Youth Miising : নেপথ্যে ত্রিকোণ প্রেম না অন্য কিছু? ২ সপ্তাহ নিখোঁজ নিউটাউনের ২২ বছরের
Kolkata Killing : মাস কয়েক আগে, বাগুইআটির দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর নৃশংস হত্যাকাণ্ড রাজ্যে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। সেই কথা ভেবে কেঁপে উঠছেন পরিজনরা। পরক্ষণেই আশঙ্কা সরিয়ে বুক বাঁধছেন আশায়।
রঞ্জিত সাউ ও সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা : ১৫ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ বছর বাইশের যুবক। তদন্তে নেমে এক এসএমএস হাতে এসেছে নিউটাউন থানার পুলিশের। যেখানে লেখা, 'আমি চলে যাচ্ছি সবাইকে ছেড়ে। আমার আর বাঁচতে ইচ্ছে করছে না। আমার দেহ যেদিন নিয়ে আসবি বাড়িতে, সেদিনকে ডাকিস। ও যেন ওর প্রেমিককে নিয়ে আমায় দেখতে আসে।'
আত্মঘাতী যুবক ?
তাহলে কি আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক ? সময় যত গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে রহস্য। নিখোঁজ যুবকের নাম, গৌরব দাস (২২)। নিউটাউন থানার চণ্ডীবেড়িয়া বিবেকানন্দ পল্লির বাসিন্দা। পরিবারের দাবি, চলতি মাসের ১৫ তারিখ বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি গৌরব। পরের দিন নিউটাউন থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে নেমে হাতে এসেছে একটি এসএমএস। যুবক ওই এসএমএসটি করেছেন তাঁর পরিচিত এক কিশোরীর আত্মীয়কে। ওই আত্মীয় উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার বাসিন্দা। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, কিশোরীর সঙ্গে হাবড়ার এক তরুণের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি ত্রিকোণ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন গৌরব।
ত্রিকোণ প্রেমের জের ?
তদন্তকারীদের অনুমান, ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্কের জেরেই নিখোঁজ হয়েছেন যুবক। পুলিশ সূত্রে খবর, গৌরবের মোবাইল ফোনের শেষ টাওয়ার লোকেশন ছিল বালি ব্রিজ।
কিন্তু ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে কিছু পাওয়া যায়নি। পরীক্ষা করা হয়েছে যুবকের পরিচিত কিশোরী ও তাঁর আত্মীয়র ফোন।
মাস কয়েক আগে, বাগুইআটির দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর নৃশংস হত্যাকাণ্ড রাজ্যে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। সেই কথা ভেবে কেঁপে উঠছেন পরিজনরা। পরক্ষণেই আশঙ্কা সরিয়ে বুক বাঁধছেন আশায়।
আরও পড়ুন- কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রতিষ্ঠা দিবসে পড়ুয়াদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে নির্মল মাঝি
পাশাপাশি কয়েক মাস আগে বাগুইআটি জোড়া খুনের ( Baguiati Double Murder Case)ঘটনায় হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে গ্রেফতার হয় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী। বাগুইআটি জোড়া খুনের দু’ সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও তাঁকে নাগালে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে এদিন গ্রেফতার হতেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন নিহত-র মা। বুজে আসা গলায় বললেন, অভিযুক্তের ফাঁসি চাই। নিহত অতনু-র মা বলেন, ওর ফাঁসি চাই।আমার অতনুকে ও ওই ভাবে মেরেছে।আমার অতনু কী দোষ করেছিল ও আমার অতনুকে, আমার বড় আদরের ছেলে, আমার একমাত্র ছেলে, বড় আদরের ও আমার বলতে বলতে ফের কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।