Kolkata Police: প্রবীণ নাগরিকদের নিরাপত্তায় বাড়তি সতর্কতা, নড়েচড়ে বসল পুলিশ; কী পদক্ষেপ?
Kolkata News: পঞ্চসায়রে একাকী দম্পতিকে টার্গেট, আয়া ও তাঁর সঙ্গীর হাতে খুন ৭৯ বছরের গৃহকর্ত্রী। ঘটনায় নড়েচড়ে বসল পুলিশ।

আবির দত্ত, কলকাতা: নিউ গড়িয়ায় বৃদ্ধা খুনের পর নড়েচড়ে বসল পুলিশ। সিপির নির্দেশে নির্দিষ্ট ফর্মে আয়া, পরিচারক-পরিচারিকাদের তথ্য সংগ্রহ করবে পুলিশ। নেওয়া হবে ভাড়াটিয়ার তথ্যও।
পঞ্চসায়রে একাকী দম্পতিকে টার্গেট, আয়া ও তাঁর সঙ্গীর হাতে খুন ৭৯ বছরের গৃহকর্ত্রী। ঘটনায় নড়েচড়ে বসল পুলিশ। প্রবীণ নাগরিকদের নিরাপত্তায় বাড়তি সতর্কতা কলকাতা পুলিশের।পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে লালবাজারের তরফে থানায় থানায় পাঠানো হবে বিশেষ ফর্ম। তাতে নথিভুক্ত করা হবে পরিচারক, পরিচারিকা, আয়া এবং গাড়ি চালকদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। ফ্ল্যাট বা বাড়ি যাঁরা ভাড়া নিচ্ছেন, সেই ভাড়াটেদের সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য নথিভুক্ত করা হবে পুলিশের এই ফর্মে। পঞ্চসায়রে বৃদ্ধা খুনের পর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
ঘটনা কী?
পঞ্চসায়র থানা থেকে মাত্র ৬০০ মিটার দূরে নিউ গড়িয়ার অভিজাত আবাসন থেকে শুক্রবার উদ্ধার হয় সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধার হাত, পা, মুখ বাঁধা, রক্তাক্ত মৃতদেহ। পাশের ঘরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় খাটের তলায় পড়ে ছিলেন অসুস্থ স্বামী। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদেরই বাড়িতে কর্মরত আয়া আশালতা সর্দারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধরা পড়েছে তাঁর সঙ্গী জালাল মীর। সপ্তাহখানেক আগে ১৭ অগাস্টই দম্পতির বাড়িতে কাজে যোগ দিয়েছিলেন ধৃত মহিলা। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত আয়া আশালতা সর্দার ও তাঁর সঙ্গী জালাল মীরের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাট এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে তাঁদের অনুমান, লুঠের উদ্দেশ্যেই ৭৯ বছরের বিজয়া দাসকে খুন করা হয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতি ছিলেন সফট টার্গেট। তাই কাজে যোগ দেওয়ার পরেই ওই আয়া এই পরিকল্পনা করে বলে পুলিশের অনুমান।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার পরে আবাসনে ঢোকেন ওই আয়া। নিহত বৃদ্ধার বাড়ির আশপাশের একাধিক সিসিটিভি ফুটেজে আয়া ও তাঁর সঙ্গীর ছবি ধরা পড়েছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে বৃদ্ধাকে খুন করা হয়। খুনের পরে লুঠপাট চালিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। খুনের সময় ভিতরে ছিলেন আয়া আশালতা সর্দার। পুুলিশের অনুমান, তিনিই বৃদ্ধাকে খুন করেন। বাইরে পাহারায় ছিল সঙ্গী জালাল। লুঠের পরিকল্পনা ছিল আয়ার সঙ্গীর, লুঠের সামগ্রীও ছিল তার কাছে। বৃদ্ধার গায়ের গয়না ও তাঁর মোবাইল ফোন লুঠ করে পালায় অভিযুক্তরা। বাড়ির পুরনো পরিচারিকার থেকে আয়ার ফোন নম্বর পায় পুলিশ। খুনের পরও বৃদ্ধার ফোনটি অন করা ছিল। অভিযুক্তদের ফোন সুইচ অফ থাকায় বৃদ্ধার ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃদ্ধার মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে খুনে অভিযুক্তদের খোঁজ মেলে। টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে আয়া ও তাঁর সঙ্গীকে পাকড়াও করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, পরিকল্পনামাফিক লুঠের আগে বৃদ্ধার ফ্ল্যাটের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। কেটে দেওয়া হয় CC ক্যামেরার তার। বৃদ্ধার বাড়ি থেকে লুঠ হওয়া গয়না, দেব, দেবীর মূর্তি, ঘড়ি উদ্ধার হয়েছে বলে আদালতে জানান সরকারি আইনজীবী। ধৃতদের ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত।





















