Kolkata Police raid: মোবাইল গেমিং অ্যাপ প্রতারণাকাণ্ডে শহরজুড়ে কলকাতা পুলিশের তল্লাশি অভিযান
Mobile gaming App: আজ একযোগে তল্লাশি গিরিশ পার্ক, বেকবাগান, পদ্মপুকুর, নিউ মার্কেট, পার্ক স্ট্রিট, রফি আহমেদ কিদোয়াই রোড, পোস্তা, মহাবীরতলা ও নাগেরবাজারে।
পার্থপ্রতিম ঘোষ এবং ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: মোবাইল গেমিং অ্যাপ (Mobile Gaming App) প্রতারণাকাণ্ডে শহরজুড়ে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) তল্লাশি অভিযান। নাগেরবাজারে (Nagerbazar) তল্লাশিতে মিলল হার্ড ডিস্ক। হার্ড ডিস্ক পরীক্ষার জন্য লালবাজার (Lalbazar) থেকে আনা হল সাইবার টিম (Cyber Team)। তল্লাশিতে উদ্ধার হয়ছে পাসপোর্টও। নাগেরবাজার থেকে নথি বানিয়ে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হত, দাবি কলকাতা পুলিশের।
গতকালের পর আজ একযোগে তল্লাশি গিরিশ পার্ক, বেকবাগান, পদ্মপুকুর, নিউ মার্কেট, পার্ক স্ট্রিট, রফি আহমেদ কিদোয়াই রোড, পোস্তা, মহাবীরতলা ও নাগেরবাজারে। পুলিশের দাবি, মোবাইল গেমিং অ্যাপ প্রতারণাকাণ্ডে প্রায় ডজনখানেকের বেশি অফিসের হদিশ মিলেছে। কোটি কোটি টাকা প্রতারণা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলে অভিযোগ।
এদিকে, ই-নাগেটস মোবাইল গেমিং অ্যাপ চক্রে শুধু ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ নয়, আরও কোটি কোটি টাকার হদিশ। কলকাতা পুলিশের দাবি, বিদেশ থেকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চালানো হত প্রতারণা চক্র। গার্ডেনরিচের আমির খান একা নয়, উঠে আসছে আরও কয়েকটি নাম। এদেরই একজন বি কে পাল অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা শুভজিৎ শ্রীমানি। তিনি মোবাইল গেমিং অ্যাপ প্রতারণা চক্রের আরেক মাস্টারমাইন্ড বলে পুলিশের দাবি।
পুলিশ সূত্রে খবর, বর্তমানে দুবাইয়ে ঘাঁটি গেড়েছেন শুভজিৎ। গতকাল সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে তাঁর অফিসে গিয়ে দেখা যায়, অফিসে লোক নেই, অথচ সার্ভার, কম্পিউটার চলছে। পুলিশের দাবি, দুবাই, মালয়েশিয়ায় বসেই গোটা সিস্টেম অপারেট করা হত। গেমিং অ্যাপের পাশাপাশি, বিভিন্ন ধরনের অনলাইন প্রতারণা চক্রও চালানো হত বলে দাবি। গেমিং অ্যাপ প্রতারণা-তদন্তে গতকাল ৫ জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে এক মহিলা-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বেহালার বাসিন্দা ধৃত সোমা নস্করের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে হদিশ মেলে ৩০ কোটি টাকার।