Rabindra Sarobar: সঙ্কটে মহানগরের ‘ফুসফুস’? রবীন্দ্র সরোবরে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ
illegal Construction: কেউ বলেন দক্ষিণ কলকাতার ফুসফুস। কারও কাছে আবার মহানগরের ইট-কাঠ-পাথরের জঙ্গলের মধ্যে থাকা অক্সিজেন সিলিন্ডার।
পার্থপ্রতিম ঘোষ ও অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে, রবীন্দ্র সরোবরে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ লেক লাভার্স ফোরাম ও প্রাতর্ভ্রমণকারীদের একাংশের। যদিও অভিযোগ খারিজ করে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে বলে দাবি করেছেন ফিরহাদ হাকিম। কাজ বন্ধ না হলে, আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পরিবেশকর্মীদের একাংশ।
কেউ বলেন দক্ষিণ কলকাতার ফুসফুস। কারও কাছে আবার মহানগরের ইট-কাঠ-পাথরের জঙ্গলের মধ্যে থাকা অক্সিজেন সিলিন্ডার। আর এই রবীন্দ্র সরোবরের মধ্যে এভাবেই ডাঁই করে রাখা বালি, স্টোনচিপ থেকে সিমেন্ট। অভিযোগ, খোদ কলকাতা পুরসভার তত্ত্বাবধানে সরোবরের মধ্যে চলছে বেআইনি নির্মাণ। যার বিরুদ্ধে সরব হয়ে এবার আন্দোলনে নামল লেক লাভার্স ফোরাম ও প্রাতর্ভ্রমণকারীদের একাংশ।
গতকাল শনিবার রবীন্দ্র সরোবর ও সংলগ্ন এলাকায় প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ করেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, রবীন্দ্র সরোবর লেকের ভিতর নতুন করে কোনও নির্মাণ কাজ করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। অভিযোগ, ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, 'মা ফিরে এল' বলে একটি আর্ট গ্যালারির নাম করে অবৈধ নির্মাণ করছে কলকাতা পুরসভা।
যদিও সরোবরে হওয়া নির্মাণকাজ বন্ধ না হলে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পরিবেশকর্মীদের একাংশ। সম্প্রতি, বিষয়টি নিয়ে ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে নালিশ জানালে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ খারিজ করে দেন ফিরহাদ হাকিম। চলতি মাসেই তিনি জানিয়েছিলেন, "রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হচ্ছে, যারা সকালবেলা মর্নিংওয়াক করেন তাঁরা যাতে সুন্দরভাবে, হোঁচট খেয়ে না পড়ে যান সেই কাজটা হচ্ছে। ‘মা ফিরে এলো’-তে সুন্দর করে সাজাচ্ছি যাতে ওখানে লোক আসে। আমি নিজেই গিয়েছিলাম, কয়েকটা টালি নড়ছিল, কেএমডিএ-কে ডেকে বললাম টালিগুলোকে ফিক্স করে দাও, ঢরঢর করে নড়ছে, পড়ে যাবে কেউ।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।