RG Kar News: আর জি করকাণ্ডে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ মৃতার পরিবারের
Kolkata News: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়ে রাজ্যপালের কাছে আবেদন করেছে মৃতার পরিবার।

কলকাতা: আর জি করকাণ্ডে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ মৃতার পরিবারের। আর জি করকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলে সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা। চিঠিতে সিবিআই তদন্তের গাফিলতি নিয়েও উল্লেখ করেছেন তাঁরা। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়ে রাজ্যপালের কাছে আবেদন করেছে মৃতার পরিবার।
প্রায় দেড় ঘণ্টা রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক হয় মৃতার পরিবারের। এদিন বৈঠকের পর নির্যাতিতার বাবা জানান, "CBI-এর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা লিখিত আকারে দিলাম। যাতে উনি উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করেন। সম্ভব হলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করাবেন। উনি আশ্বস্ত করেছেন ন্যায় বিচার পাবেন।'' নির্যাতিতার মা বলেন, "উনি বললেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলবেন। আমাদেরও বললেন রাষ্ট্রপতিকে ইমেল করতে। রাজ্যপালকে সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে চিঠি দিয়েছি।''
এদিকে আর জি কর মেডিক্যালের দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন, বিশেষ CBI আদালতের বিচারক। অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে রাজ্য সরকার অনুমোদন দিলেও, তা নিম্ন আদালতকে না জানানোয়, তদন্তকারী অফিসারকে শোকজও করলেন বিচারক। আর জি কর মেডিক্যালে দুর্নীতির মামলায় জেলে রয়েছেন সন্দীপ ঘোষ, হাউস স্টাফ ও TMCP নেতা আশিস পাণ্ডে-সহ পাঁচজন। সন্দীপ ঘোষ, আশিস পাণ্ডে সরকারি কর্মী হওয়ায়, তাঁদের বিরুদ্ধে বিচারপক্রিয়া শুরু করতে রাজ্য সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন হয়।
এদিন শুনানির শুরুতে আশিস পাণ্ডের আইনজীবী জানান, সম্প্রতি রাজ্য সরকার তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে অনুমোদন দিয়েছে। তখনই বিচারক সুজিত কুমার ঝা বলেন, অনুমোদন পাওয়া গেছে, আমি জানি না। তখন CBI-এর আইনজীবী জানান, হ্যাঁ, তারা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অনুমোদন পেয়েছেন। তখনও ক্ষুব্ধ হয়ে বিচারক প্রশ্ন করেন - আমাকে জানাননি কেন? CBI-এর তদন্তকারী অফিসার মণীশ উপাধ্যায়ের কাছে তিনি জানতে চান, কবে রাজ্য সরকারের থেকে অনুমোদন পেয়েছেন? উত্তর আসে - ২৭ তারিখ। বিচারক বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) কত তারিখ? আমাকে জানাননি কেন? ২৮ তারিখ কেন জানাননি? CBI কী করতে চাইছে? কেন করতে চাইছে? আমি বুঝতে পারছি না। ট্রায়াল কোর্টকে এড়িয়ে হাইকোর্টকে অনুমোদনের কথা জানিয়ে দিচ্ছেন। CBI-এর তদন্তকারী অফিসার বলেন, তাঁরা ২৭ তারিখ অর্থাৎ সোমবার সন্ধেবেলা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছেন। সেই সংক্রান্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখছিলেন। পাল্টা বিচারক বলেন - কিছু শুনব না। কেন সরকারি অনুমোদনের কথা নিম্ন আদালতকে জানানো হয়নি, তা শুক্রবার দুপুর ১টার মধ্যে লিখিতভাবে জানাবেন। আপনাকে শোকজ করব। সেই মতো CBI-এর তদন্তকারী অফিসারকে শোকজ করেছেন বিচারক।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
