Co-Education : ১৯৩ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার, সামনের শিক্ষাবর্ষেই ছাত্রীদের জন্য দরজা খুলছে কলকাতার এই স্কুল
School in Kolkata : স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এই তিন স্তরেই মেয়েদের ভর্তি নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : নজরকাড়া সিদ্ধান্ত স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের। অবশেষে মেয়েদের জন্য খুলতে চলেছে কলকাতার এই নামী স্কুলের দরজা। দীর্ঘ ১৯৩ বছরের ইতিহাসে যা কখনো দেখা যায়নি।
আগামী ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে শুরু হবে স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলে ছাত্রী-ভর্তির প্রক্রিয়া। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এই তিন স্তরেই মেয়েদের ভর্তি নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। স্কুল সূত্রের খবর, ২০১৯ সালে কেষ্টপুরের ব্রাঞ্চে চালু হয়েছে কো-এডুকেশন। কিন্তু, মূল প্রতিষ্ঠানে এই প্রথমবার শুরু হচ্ছে ছাত্রী ভর্তির প্রক্রিয়া।
কলকাতার অন্যতম প্রথিতযশা স্কুল স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলে ছাত্রী ভর্তির প্রক্রিয়া চালু করার দাবি দীর্ঘদিনের। যেখানে বেথুন স্কুল মহিলাদের শিক্ষার প্রসারে অন্যতম অগ্রগণ্য ভূমিকা নিয়েছে, সেখানে কেন স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল ব্রাত্য থাকবে ? এই প্রশ্ন ছিল দীর্ঘদিনের। অবশেষে সময়োচিত ও প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি জানিয়ে দিল, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ছাত্রীদের জন্য খুলে যাচ্ছে স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের এতদিনের বন্ধ থাকা দরজা।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের জন্য যথাক্রমে ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ এডুকেশন ও ওয়েস্ট বেঙ্গল কাউন্সিল অফ হায়ার এডুকেশনের অনুমোদিত স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল। উত্তর কলকাতার বুকে থাকা এই বয়েজ স্কুলটির ১৯০ বছরের বেশি ইতিহাস। ১৮৩০ সালে এর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রেভারেন্ড আলেকজান্ডার ডাফ। স্কটল্যান্ডের চার্চের প্রথম মিশনারি হিসাবে যিনি ভারতে আসেন। Diocesan Schools পরিচালন সমিতির মাধ্যমে এই স্কুল পরিচালিত হয়। দেশে এখনও চলা পুরনো খ্রিশ্চান মিশনারি স্কুলগুলির মধ্যে রয়েছে প্রাচীন এই স্কুলটি।
এখানকার পঠন-পাঠনের মান বরাবর উন্নত। বছরের পর বছর ধরে বহু ভাল ছাত্র বেরিয়েছে এখান থেকে। বোর্ডের পরীক্ষায় ভাল ফল করতেও দেখা গেছে অনেককে। ২০২০ সালে WBHSE-তে ১০ জনের মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছিল এই স্কুলের দুই ছাত্র। মেধাতালিকায় জায়গা করে নেওয়ায় তাদের সংবর্ধনা জানান বিশপ। স্কুলের ওয়েবসাইট প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, কৃতী ওই দুই ছাত্রের নাম যথাক্রমে অঙ্কন পাল ও অভীক সাহা। তারা ৪৯৪ ও ৪৯১ নম্বর পেয়ে নজর কেড়ে নেয়। ৯৮.৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করে অঙ্কন এবং ৯৮.২ শতাংশ নম্বর পেয়ে নবম স্থান দখল করে অভীক।