Tangra News :দুর্ঘটনার ঘটানোর আগে নাবালক ছেলেটিকে কী বলেছিল বাবা-জ্যাঠা? ট্যাংরাকাণ্ডে হাড়হিম করা তথ্য
Tangra Murder Case : একাধিক হাড় ভেঙে টুকরো টুকরো, হবে আবার অপারেশন, সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত প্রণয় দে-র নাবালক পুত্র।

প্রকাশ সিনহা, সন্দীপ সরকার, আবির দত্ত, সন্দীপ সরকার, কলকাতা: ট্য়াংরা হত্য়াকাণ্ডে রহস্যের জাল খোলা তো দূরের কথা, ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। দানা বাঁধছে, একের পর এক প্রশ্ন। প্রথম প্রশ্নই কেন বেছে বেছে বাড়ির তিন মহিলা সদস্যকে শেষ করে দেওয়া হল? খুনের মোটিভ কী? শুধু মাত্র দেনার চাপ আর সহ্য় করতে না পেরেই কি এই সিদ্ধান্ত? নাকি ঘটনার নেপথ্যে কাজ করছে অন্য কোনও ফ্যাক্টর? খুনের আগে পরিবারের ৬ জন সদস্যই কি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন? অনেকেরই প্রশ্ন, এই হত্যালীলা বা আত্মহননের চেষ্টার সঙ্গে বাড়ির বড়রা ছোটদের বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টাটুকু করলেন না? বাড়ির দুই কমবয়সি সদস্যের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে, আরেকজন দুর্ঘটনায় সবথেকে বেশি আহত। পরিবারের ছোটদের এই ভয়ঙ্কর পরিণাম বড়রা জেনেবুঝেই ডেকে আনলেন?
সেদিনের গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত পরিবারের ৩ সদস্য এখনও রুবি হাসপাতালের ICU-তেই ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বড় ভাই প্রণয় দে এবং ছোট ভাই প্রসূন দে আপাতত বিপদমুক্ত। হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ডে রহস্যের জট খুলতে সব থেকে বড় ভরসা এঁদের বয়ানই। চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে তাঁদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা।
এখনও পর্যন্ত দে-পরিবারের দুই ভাই যা বলেছেন, তা গা-শিউরে ওঠার মতোই। পিলারে গাড়ির ধাক্কায় সবচেয়ে বেশি জখম হয়েছে প্রণয় দে-র নাবালক পুত্র। তার শরীরে একাধিক অঙ্গের হাড় ভেঙে গিয়েছে। কিশোরের শরীরে রয়েছে একাধিক ক্ষত। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আজ ওই কিশোরের শরীরে আরেকটি অস্ত্রোপচার হতে পারে। পুলিশ সূত্রে খবর, বয়ানে দুই ভাই জানিয়েছে, পিলারে গাড়ির ধাক্কা মেরে আত্মহত্যার চেষ্টার আগে কিশোরকে গাড়ি থেকে নেমে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি সে।
ট্যাংরা হত্যাকাণ্ডে দুই ভাইয়ের পাশাপাশি আহত কিশোরের বয়ানও তাই তদন্তকারীদের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কিশোরের কথায় অসংলগ্নতা রয়েছে। প্রয়োজনে মনোবিদের সাহায্য নেওয়া হতে পারে।প্রণয় ও প্রসূন দে-কে ICU থেকে ছাড়া হতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে, আত্মহত্যাই যদি মূল উদ্দেশ্য হত, তাহলে কেন অতক্ষণ শহরের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ালেন তাঁরা। বাড়ির মহিলা সদস্যদের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর কী উদ্দেশে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা ? সত্যিই কি আত্মহননের চেষ্টা, নাকি অন্যকিছু ?
এখনও পর্যন্ত তদন্ত যা বলছে, তাতে প্রণয়-প্রসূনের বয়ান অনুযায়ী, ১৭ ফেব্রুয়ারি, সোমবারই সপরিবারে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তাঁরা। ১৮ তারিখ, মঙ্গলবার পাওনাদারদের বাড়িতে আসতে বলা হয়। বুধবার ভোরে মেট্রোর পিলারে গাড়ি নিয়ে ধাক্কা মারে দুই ভাই। ওই দিনই সকালে ট্যাংরার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তিন মহিলার দেহ। মৃত্যুর সময় উল্লেখ করা হয়েছে, ময়নাতদন্তের ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টা আগে। অর্থাৎ, মঙ্গলবারই খুন করা হয় বাড়ির ৩ সদস্য়কে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
