Nursing Home Ransacked : সদ্যোজাতর মৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগ ঠাকুরপুকুরের নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে, ভাঙচুর মৃতের আত্মীয়দের
Kolkata : নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতির সংবেদনশীলতার কথা মাথায় রেখে ভাঙচুর নিয়ে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি।
ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : দশমীতে জন্মগ্রহণ, একাদশীতেই সব শেষ! সদ্যোজাতর মৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগ উঠল ঠাকুরপুকুরের একটি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে (Hospital Negligence Alegation)। থানায় গাফিলতির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গাফিলতির অভিযোগ
সদ্যোজাতর মৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগ। ঠাকুরপুকুরের নার্সিংহোমে ভাঙচুর মৃতের আত্মীয়দের। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় গাফিলতির অভিযোগ দায়ের। দশমীর দিন ঠাকুরপুকুর থানা এলাকার বাসিন্দা সুপর্ণা দত্ত কস্তুরি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। ওই দিনই তিনি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। পরিবারের দাবি, জন্মের পর সুস্থই ছিল সদ্যোজাত। কিন্তু একাদশীর বিকেলে আচমকা সদ্যোজাতর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে জানায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। ওইদিনই মৃত্যু হয় সদ্যোজাতর। এরপরই ভাঙচুর করা হয় নার্সিংহোম (Nursing Home Ransacked)। মৃত সদ্যোজাতর বাবা বলেছেন, 'সকালেও দেখেছিলাম সুস্থ ছিল। তারপর নার্সিহোম থেকে বলল অবস্থা খারাপ। এসে দেখি আর নেই।'
অভিযোগ অস্বীকার
যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, একাদশীর দিন পদ্ধতি মেনে কৌটোর দুধ খাওয়ানো হয় সদ্যোজাতকে। তাকে শোওয়ানোর কিছুক্ষণ পর দেখা যায় হাত পা নড়ছে না। তারপর অনেক চেষ্টা করেও শিশুকে বাঁচানো যায়নি। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেও গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত নার্সিহোমের মেডিক্যাল সুপার উত্পল চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, 'আমরাও মর্মাহত। আপাত কোনও সমস্যা চোখে পড়েনি। একাদশীর দিন বিকেলে খাওয়ানো হয় কৌটোর দুধ। বেডে শোয়ানোর কিছুক্ষণ পরই দেখা যায় নড়াচড়া বন্ধ করে দিয়েছে। RMO রিভাইভ করানোর চেষ্টা করলেও তা সফল হয়নি। আমরা অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গড়েছি। কারও গাফিলতি প্রমাণ হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।'
শনিবার ঠাকুরপুকুর থানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত সদ্যোজাতর পরিবার। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতির সংবেদনশীলতার কথা মাথায় রেখে ভাঙচুর নিয়ে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি।
কিছুদিন আগে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri Incident) মালবাজারে মাল নদীতে হড়পা বানে আহতদের ভর্তি করা হয় মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। মৃতদের দেহও নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে। হাসপাতালে (Hospital) প্রশাসনিক সাহায্য না মেলার অভিযোগে উত্তেজনা ছড়ায়। হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয়। পরে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
আরও পড়ুন- 'সরকারি টাকায় মোচ্ছব, বাবুঘাট বা কলকাতার কোনও ঘাটে হলে কার্নিভাল হত না', আক্রমণ শুভেন্দুর