Kolkata News: বকেয়ার দাবিতে ধর্না তৃণমূলের, রাজীবকে দেখেই ‘গদ্দার’ স্লোগান, ধমকে থামালেন সুব্রত
Rajiv Banerjee: কলকাতার রেড রোডে একনাগাড়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে ধর্না চলছে।
কলকাতা: কেন্দ্রের থেকে প্রাপ্য বকেয়া নিয়ে ঝাঁঝ বাড়িয়ে চলেছে তৃণমূল। দিল্লি গিয়ে ধর্নায় বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্নায় বসেন কলকাতায়। এখনও রেড রোডে ধর্না চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। আর সেখানেই দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব সামনে চলে এল। ধর্নামঞ্চে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই 'গদ্দার' বলে রব উঠল। পরিস্থিতি এমন দাঁড়াল যে জেলার ধর্না কর্মসূচিই বন্ধ করে দিতে হল। (Kolkata News)
১০০ দিনের কাজ, সড়ক এবং আবাস যোজনা-সহ একাধিক ক্ষেত্রে রাজ্যের প্রাপ্য টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে বলে লাগাতার আক্রমণ শানিয়ে আসছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। কলকাতার রেড রোডে একনাগাড়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে ধর্না চলছে। রবিবার সেখানে হাড়া সদর এবং পরে হাওড়া গ্রামীণের তরফে ধর্না কর্মসূচি ছিল। কিন্তু ওই ধর্নামঞ্চে রাজীব উঠতেই পরিস্থিতি তেতে ওঠে। তাঁকে দেখে হাওড়া গ্রামীণের অনেকে 'গদ্দার' রব তোলেন। কখনও পুলক রায়, কখনও আবার অরূপ রায়ের পক্ষে স্লোগান তোলেন তাঁদের অনুগামীরা। (Rajiv Banerjee)
রাজীবকে মঞ্চে দেখে কার্যতই ক্ষোভে ফেটে পড়েন দলের একাংশ। এদিন ধর্নামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিও। তাঁর সামনেই এদিক ওদিক থেকে 'গদ্দার' স্লোগান উড়ে আসতে থাকে। সর্বসমক্ষে চলে আসে দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। বিক্ষোভ চরমে উঠলে অস্বস্তিতে পড়েন দলীয় নেতৃত্ব। এমন চললে সভা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও সতর্ক করা হয়।
আরও পড়ুন: Dev vs Shankar: দেবের সংঘাতের জের! ঘাটালে পদ গেল শঙ্করের, তারকা সাংসদের কালীঘাটগমনের পরই সিদ্ধান্ত
যাঁরা স্লোগান তুলছিলেন, তাঁদের উদ্দেশে সুব্রতকে বলতে শোনা যায়, "এটা গুন্ডামি, বদমাইসির জায়গা নয়। আমি আপনাদের বলছি, যাঁরা নেতৃবৃন্দ রয়েছেন, সবাই নেমে যান। নেমে যান এখান থেকে। এক মিনিটও দাঁড়াবেন না। নামুন।" তার পরেও পরিস্থিতি শান্ত না হওয়ায়, হাওড়া জেলার ধর্না কর্মসূচিই বন্ধ করে দেন সুব্রত। ধমক দিয়ে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েক জনকে।
এ প্রসঙ্গে অরূপ বলেন, "এই ধরনের ঘটনা বাঞ্ছনীয় নয়। না ঘটলেই ভাল হতো। যেই করে থাকুক, কারও বিরুদ্ধে এমন কথা বলা উচিত নয়। আমাদের দলের সকলেই। কেউ ভুল করতেই পারেন। দল যখন তাঁকে স্থান দিয়েছে, এই ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। আমরা খুব লজ্জিত। ব্যক্তিগত ভাবে আমার খুব খারাপ লেগেছে।" তবে দলের রাজ্য সভাপতির সামনে এমন বল্গাহীন আচরণে তৃণমূলের অন্দরের শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাতে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে দলের অন্দরে।