(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Market Price: শীতেও চড়া সবজির দাম, নতুন বছরেও অগ্নিমূল্য বাজারদর
শীতের সবজির দেখা নেই পাতে। শীতকালে থলি ভর্তি বাজার করার সুখ উধাও। কারণ, সবজির চড়া দাম।
সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: সবজির দামেও এখন হাত পুড়ছে ক্রেতাদের। শীতের সবজি তো বটেই, ঢ্যাঁড়শ, পটলও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। বিক্রেতাদের দাবি, ডিসেম্বরের বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হওয়ার কারণেই বাজারের এই অবস্থা।
নতুন বছরের শুরুতে শীতের ব্যাটে দাপুটে ইনিংস। অথচ শীতের সবজির দেখা নেই পাতে। শীতকালে থলি ভর্তি বাজার করার সুখ উধাও। কারণ, সবজির চড়া দাম। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে কেন বাজার এতটা চড়া? বিক্রেতাদের দাবি, ডিসেম্বরের গোড়ায় বৃষ্টির কারণে ক্ষতি হয়েছে ফসলের। তার জন্যই সব সবজিরই দাম বেশি।
গড়িয়াহাটের বিক্রেতা হরিদাস ঘোষ বলেন, "বৃষ্টিতে সবজি নষ্ট হয়েছে তাই দাম কমেনি। এখন যে সব সবজি লাগানো হয়েছে, সেগুলি বাজারে এলে দাম কমবে।" গড়িয়াহাট বাজারের এক ক্রেতা বলেন, "এবার আর বাজার করে সুখ নেই। দাম অত্যন্ত চড়া।"
আরও পড়ুন, এই উপসর্গগুলি পাত্তা দেননি এতদিন ! এগুলোই এবার করোনার লক্ষণ
কতটা চড়া সবজির দাম? মঙ্গলবার গড়িয়াহাট বাজারে দেখা গেল, ১টি ফুলকপির দাম ২৫ থেকে ৩০ টাকা। ১ কেজি বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে। পালং শাকের কেজি ৩০ টাকা। গাজর ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। বিনস ৫০ টাকা। বড় বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। ছোট বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে। মটরশুঁটির দাম ৫০-৬০ টাকা কেজি। একটা লাউ ৪০ থেকে ৬০ টাকা। ক্যাপসিক্যাম ১০০ টাকা কেজি । এর পাশাপাশি, ঢেঁড়শ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে। পটলের দাম ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। ডাঁটা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে।
করোনা পরিস্থিতিতে রোজগারে টান পড়েছে বহু মানুষের। এখন সবজিও অগ্নিমূল্য হলে মানুষ কী খাবে? নতুন সবজি কবে বাজারে আসবে, কবে দাম কমবে, এখন সেদিকেই তাকিয়ে ক্রেতারা।