Kolkata Pollution: বাড়ন্ত CNG! বসে রয়েছে স্প্রিঙ্কলার! দূষণ ঠেকানোর কাজে হোঁচট
KMC: স্প্রিঙ্কলার গাড়ির সাহায্যে জল ছিটিয়ে, বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু বাধ সেধেছে CNG-র অভাব।
অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: প্রতিবছর শীতের শুরুতেই দূষণে ঢেকে যায় রাজধানী দিল্লি (Delhi Pollution)। ধোঁয়াশায় ঢেকে যায় গোটা রাজধানী। দূষণের এই ছবি শুধু দিল্লি নয়, আরও নানা শহরেই দেখা যায়। যার মধ্যে রয়েছে কলকাতাও। কলকাতার দূষণ যাতে হাতের বাইরে না বেরিয়ে যায় তার জন্য প্রথম থেকেই শক্ত হাতে লাগাম ধরতে চাইছে কলকাতার পুর-প্রশাসন। স্প্রিংলার গাড়ির সাহায্যে জল ছিটিয়ে, বাতাসে ধুলোর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছে কলকাতা পুরসভা (KMC)। কিন্তু সেখানেও হোঁচট। সিএনজির অভাবে হোঁচট খাচ্ছে সেই কাজ।
দূষণে দিল্লির চেয়ে বিশেষ দূরে নেই কলকাতাও (Kolkata Pollution)! এই পরিস্থিতিতে, স্প্রিঙ্কলার গাড়ির সাহায্যে জল ছিটিয়ে, বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু বাধ সেধেছে CNG-র অভাব। এ ব্যাপারে, CNG সরবরাহকারী সংস্থাকে চিঠি দিয়েছে কলকাতা পুরসভা।
দমবন্ধ অবস্থা রাজধানী দিল্লির। বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে রাজধানীর বাতাসে দূষণ। বিশেষ দূরে নেই কলকাতাও। পরিস্থিতি যে একেবারেই স্বস্তিদায়ক নয়, তা দেখা যাচ্ছে খোদ রাজ্য়ের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নিজস্ব অ্যাপে। বাতাসে দূষণের পরিমাণ কতটা, তা বোঝা যায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স দেখে।
কী বলছে বাতাসের গুণমান?
বিশেষজ্ঞদের মতে, এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে PM 2.5 শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত থাকলে, সেখানকার বাতাসের মান ভাল। PM 2.5 ২০০ থেকে ৩০০ অবধি পৌঁছে গেলে, সেখানকার বাতাসের মান খারাপ। রাজ্য়ের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নিজস্ব অ্যাপে দেখা যাচ্ছে, ৮ নভেম্বর। বালিগঞ্জ অঞ্চলে এই দূষণের মাত্রা ছিল ২৬২। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে আবার ২২৮।
পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত বলেন, 'দিল্লিতে তো আশেপাশের স্টেটগুলো এবং অন্য দেশের জন্য সমস্যা হয়। কিন্তু, কলকাতায় যা হয়, তা তো কলকাতা থেকেই হয়। তাই চেষ্টা করলে কন্ট্রোল করা যায়। ব্যবস্থা নিতে হবে। স্পিঙ্কলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এক্ষেত্রে।' এই পরিস্থিতিতে, স্প্রিঙ্কলার গাড়ির সাহায্যে জল ছিটিয়ে, বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু বাধ সেধেছে CNG-র অভাব। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, করোনাকালে স্যানিটাইজার ছড়ানোর ফলে পুরনো ২০টি স্প্রিঙ্কলার গাড়ির কার্যক্ষমতা অনেকটাই কমে গিয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন ২০টি গাড়ি কেনা হয়েছে। তবে, সেগুলিকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না CNG-র অভাবে।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, ধাপায় কলকাতা পুরসভার একটি CNG প্লান্ট রয়েছে। কিন্তু, তাতে যতটা CNG উৎপন্ন হয়, তা একটির বেশি স্প্রিঙ্কলার গাড়ি চালাতে সক্ষম নয়। এ ব্যাপারে, CNG সরবরাহকারী সংস্থাকে চিঠি দিয়েছে কলকাতা পুরসভা।
কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'CNG-র সমস্যা আছে। যারা সাপ্লাই করে, যাতে কিছুদিন অন্তত সাপ্লাই করতে পারে। যাতে গাড়িগুলো চালাতে পারি। পুরনো গাড়ি তো আছে।পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডকে বলব, বায়ুদূষণ ঘটালে কড়া ব্যবস্থা নিতে।' এখনও কলকাতায় শীত পড়েনি। এখনই দূষণের এই অবস্থা। এখনই ব্যবস্থা না নিলে জাঁকিয়ে শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দূষণ কতটা ভয়ঙ্কর হবে, তা অনুমান করেই আশঙ্কিত বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: পুজো করেন বামাক্ষ্যাপার বংশধরেরা! এই পুজোয় জড়িয়ে বহু জনশ্রুতি