Kunal Ghosh: গানে গানে এবার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরোধিতা কুণাল ঘোষের
Kunal Ghosh Song: বিধানসভা ভোটের আগে মদন মিত্র গেয়েছিলেন 'ও লাভলি'! কুমড়ো-গানে বিঁধেছিলেন কেন্দ্রের শাসকদলকে। এবার, পুজোর গানে কেন্দ্রকে নিশানা করলেন কুণাল ঘোষ।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: এবার অন্য ভূমিকায় তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (State General Secretary)। পুজোয় গান বাঁধলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। গানে গানেই নিশানা করলেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে (BJP Government)।
কুণালের পুজোর গান
'ওরে কে কোথায় আছিস, বোরোলিন আন...
তেলের দামে লাগছে ছ্যাঁকা! লাটে উঠছে ঠাকুর দেখা, গাড়ির ট্যাঙ্ক ফুল টু ফাঁকা, তেল ভরিয়ে দে..'
মদন মিত্রের পর এবার পুজোর গানে কুণাল ঘোষ। প্রতিনিয়ত প্রতিপক্ষের উদ্দেশে শানিত আক্রমণ। চাঁছাছোলা ভাষায় কটাক্ষ! সেই কণ্ঠেই এবার গান ধরলেন কুণাল।
'তেল ভরিয়ে দে, নাহলে দাম কমিয়ে দে। দাম কমিয়ে দে মাগো মা...'
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের গানের ছত্রে ছত্রে কেন্দ্রের বিরোধিতা। গানে গানে প্রতিবাদে টপ্পা ও র্যাপের যুগলবন্দি। শুক্রবার, উত্তর কলকাতার কুমোরটুলি ঘাটে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ পেল কুণাল ঘোষের এই গান।
বিধানসভা ভোটের আগে মদন মিত্র গেয়েছিলেন 'ও লাভলি'! কুমড়ো-গানে বিঁধেছিলেন কেন্দ্রের শাসকদলকে। এবার, পুজোর গানে কেন্দ্রকে নিশানা করলেন কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন: ABVP: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে পথে নামল এবিভিপি, পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের
প্রসঙ্গত, রাজ্যে এসেই শাসকদলকে (TMC) দুর্নীতি ইস্যুতে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Union Minister Dharmendra Pradhan)। তিনি বলেন, 'শিক্ষায় কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি, তবুও রাজ্যের কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙেনি। বড়বড় নেতা মন্ত্রী জেলে। কত দিনে ন্যায় পাবেন চাকরি প্রার্থীরা ? গত অগাস্টেই মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যবস্থা নিতে বলে চিঠি পাঠিয়েছি, আজ পর্যন্ত উত্তর আসেনি।' আর এবার পাল্টা আক্রমণ করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
কুণাল ঘোষ বলেন, 'কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে নয়, উনি একজন বিজেপি নেতা হিসেবে একগুচ্ছ মিথ্যে অভিযোগ, কুৎসা করলেন। প্রথম কথাটা হচ্ছে, ওঁরা যে কথাটা বলছে, যে বিজেপির দিল্লির সরকার টাকা দেয়, টাকাটা বিজেপির পৈতৃক টাকা নয়। কেন্দ্রের টাকাটা পশ্চিমবঙ্গ থেকে আয় হচ্ছে, ট্যাক্স হচ্ছে । কিন্তু পশ্চিমবঙ্গকে তার ন্যায্য অংশ দেওয়া হচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, তিনি যে কথাগুলি বলছেন, তার কি মধ্যপ্রদেশের ব্যাপক দুর্নীতি চোখে পড়েনি ? পাশে ত্রিপুরা, ১০ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি চলে গেল, তাঁরা এখনও বিচার চেয়ে ঘুরছেন, রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। পুলিশ তাঁদের উপর লাঠি, জলকামান , একবারে বলপ্রয়োগ যাকে বলে, সেগুলি করে চলেছে বিজেপির সরকার । সেগুলি ধর্মেন্দ্র প্রধানের নজরে পড়ছে না !'