Kunal Ghosh:শতরূপের ২২ লাখি গাড়ি-বিতর্কে নতুন মোড়, আইনি নোটিস কুণাল ঘোষের
Shatarup Ghosh: সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষের ২২ লাখি গাড়ি-বিতর্কে নতুন মোড়। মন্তব্য-বিতর্কে শতরূপকে আইনি নোটিস পাঠালেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
কলকাতা: সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষের (CPM Leader Shatarup Ghosh) ২২ লাখি গাড়ি-বিতর্কে (Car Controversy) নতুন মোড়। মন্তব্য-বিতর্কে শতরূপকে আইনি নোটিস পাঠালেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (TMC Leader Kunal Ghosh)। নোটিস গেল বিমান বসু, মহম্মদ সেলিমের কাছেও। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা না চাইলে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ওই নোটিসে।
প্রেক্ষাপট...
সুজন-সুশান্তের পর হালেই তৃণমূল নিশানা করেছে শতরূপকে। শাসকদলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন তোলেন, 'হলফনামায় মোট সম্পদ ২ লক্ষ টাকা, ২২ লক্ষের গাড়ি রয়েছে শতরূপের।' গাড়ি কেনার তথ্য প্রকাশ্যে এনে আক্রমণ করে তৃণমূল। 'বাবার টাকায় গাড়ি কেনা হয়েছে, কার টাকায় গাড়ি কিনব তৃণমূল বলে দেবে?' পাল্টা প্রশ্ন তোলেন সিপিএম নেতা। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, "শতরূপ ঘোষ সম্পর্কে কিছু তথ্য এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে শতরূপ ঘোষ যাঁর ২০২১ সালের নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী সম্পত্তির পরিমাণ ২ লক্ষ টাকা। একই ব্যক্তি ২০২৩ সালে গাড়ি সব মিলিয়ে ২২ লক্ষ টাকা দিয়ে গাড়ি কিনছেন। এই টাকাটা ওঁকে কে দিল? ব্যাঙ্ক থেকে লোন কী করে হবে? উনি তো হোলটাইমার। ওঁর চাকরির উপর দাঁড়িয়ে তো কোনও লোন হবে না। তাহলে যাঁর ২ লক্ষ টাকা ছিল দুবছর আগে, কী করে তিনি ২২ লক্ষ টাকা দিয়ে গাড়ি কিনলেন?'' পাল্টা সিপিএম নেতার বক্তব্য, "গাড়ি আমার নামে রেজিস্ট্রার্ড। গাড়ির সিংহভাগ দামটা বাবা চেকে পেমেন্ট করেছেন। ওঁদের একের পর এক নেতা ধরা পড়ছেন। এখন ওঁরা আলোচনার মোড় ঘোরানোর জন্য কখনও সুজনদার স্ত্রীর সম্পর্কে, কখনও আমার গাড়ি কেনার বিষয়ে কথা বলছেন।'' তার পরই এদিনের আইনি নোটিস পাঠান কুণাল। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে একাধিক দুর্নীতি মামলায় ঘরে-বাইরে অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসকদল। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অন্য দিকে গরু পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার বীরভূমের দাপুটে জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তা ছাড়াও ইডি গ্রেফতার করেছে নদিয়ার পলাশিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে। ২০১১ সালে রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন:কেকেআরের সবচেয়ে বড় শক্তি কী? এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে জানালেন নিউজিল্যান্ডের তারকা