(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Kalighat : কলকাতার অভিভাবকরূপে কালীঘাটে বিরাজমান মা দক্ষিণাকালী, আজ সেখানে মহালক্ষ্মীর পুজো
Kalighat Kali Puja : সতীর একান্ন পীঠের অন্যতম। মায়ের মন্দিরে সোমবার মহালক্ষ্মী রূপে শ্যামা মায়ের আরাধনা হবে।
কলকাতা : উত্তরে দক্ষিণেশ্বর আর দক্ষিণে বহুলা বা বেহালা। মাঝে ধনুকের মতো বাঁকা অংশ কলকাতা। পীঠনির্নয় তন্ত্র অনুসারে কালীক্ষেত্র কলকাতার ( Kolkata Kali Puja ) মাহাত্ম্য বারাণসীর সমতুল। সেই কলকাতার অভিভাবকরূপে কালীঘাটে ( Kalighat ) বিরাজ করছেন মা দক্ষিণাকালী। সতীর একান্ন পীঠের অন্যতম। মায়ের মন্দিরে সোমবার মহালক্ষ্মী রূপে শ্যামা মায়ের আরাধনা হবে।
সকাল থেকেই মন্দিরে ভক্তদের ভিড়। দূর-দূরান্ত থেকে পুজো দিতে এসেছেন দর্শনার্থীরা। গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে কালীঘাট মন্দির। আজ কালীপুজোর দিন এখানে লক্ষ্মীপুজো হয়।
কবিকঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর চন্ডীমঙ্গলে আছে, ‘কালীঘাট এড়াইল বেনের নন্দন। কালীঘাটে গিয়া ডিঙি দিল দরশন।।’ সারা বছরই শনিবার ও মঙ্গলবার মন্দিরে ভক্তদের ভিড় বেশি থাকে। এছাড়া পয়লা বৈশাখ, অক্ষয় তৃতীয়ায় হালখাতা পুজোর বড় ভিড় হয়। বিপত্তারিনী পুজোতেও ভিড় হয় চোখে পড়ার মতো। তবে কালীঘাটের মূল পুজো আটটি। রক্ষাকালী, স্নানযাত্রা, জন্মাষ্টমী, মনসাপুজো, চড়ক, গাজন, রামনবমী, আর দীপাবলী। কালীঘাট মন্দিরে দুর্গাপুজোও করা হয়।
কালীপুজোর মাহাত্ম্য
কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথির গভীর রাতে যোগিনী পরিবৃতা হয়ে আবির্ভূতা হন মা কালী৷ জগতে কল্যাণ এবং শান্তি স্থাপনের জন্য ভক্তরা দেবীর আরাধনা করেন৷ তিনি অসুখ বিনাশিনী৷ মহা শক্তিধর শুম্ভ-নিশুম্ভের হাত থেকে ত্রিলোককে রক্ষা করতেই দেবীর সৃষ্টি৷ নরমুণ্ডই দেবীর অলঙ্কার৷ যুদ্ধে পরাজিত সেনাপতিদের মুণ্ডের মালা মা কালীর কণ্ঠের শোভা৷ বলা হয়, পঞ্চাশটি মুণ্ডের এই মালা আসলে জ্ঞানের প্রতীক৷ যে সেনাপতি তাঁর চুল ধরে অপমান করেছিল, তাঁর মুণ্ড দেবী হাতে ধরে থাকেন৷ মৃত সেনাপতিদের হাতের পাতা দেবী কোমরে ধারণ করেন৷ শাস্ত্রমতে এই করতলও জ্ঞানের প্রতীক৷ ভুল করে স্বামী মহাদেবের গায়ে পা তুলে ফেলায় লজ্জিতা রণে উন্মত্ত দেবী৷
কালীপুজোয় মেতেছে বাংলা
কলকাতা থেকে কামাখ্যা। বীরভূম থেকে বারাসাত। দিকে দিকে সাড়ম্বরে শক্তি আরাধনার আয়োজন। শারদোত্সবের পর ফের উত্সবের আমেজ। দুর্গাপুজোর মতো কালী পুজোতেও বিভিন্ন জায়গায় চমক দিচ্ছে থিম। যদিও বাধ সেধেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। আলোর উত্সবের মাঝেই নেমে এসেছে আশঙ্কার অন্ধকার। কিন্তু তাতে কী! মানুষের উত্সাহে ভাটা পড়েনি। কালো মেয়ের পায়ের তলায় আলোর নাচন দেখতে মণ্ডপ থেকে মন্দিরে ভিড় করেছেন দর্শনার্থীরা। সকাল থেকে দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট, তারাপীঠে মানুষের ঢল। একই ছবি অসমের নীলাচল পাহাড়ের কামাখ্যা মন্দিরে।