Howrah News: বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে গাঁজা উদ্ধার !
Marijuana In BJP House: হাওড়ার সাঁকরাইলের কান্দুয়া পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য রূপা রায়ের বাড়িতে পুলিশি হানায় বেরিয়ে পড়ল..
হাওড়া: বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের (BJP Panchayat member) বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে গাঁজা উদ্ধার! হাওড়ার সাঁকরাইলের কান্দুয়া পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য রূপা রায়ের বাড়িতে হানা পুলিশের। উদ্ধার ২৬ কেজি গাঁজা, দাবি পুলিশের। বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ (Police)।
যদিও এর আগে একাধিকবার মাদক উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে। বাইশ সালে, শিলিগুড়িতে মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন সেবার নকশালবাড়ির বিজেপি নেতা। যদিও সেবার উদ্ধার হয়েছিল ২৫টি নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ।বাংলা-বিহার সীমানার চক্করমাড়ি থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। ধৃতের নাম সুমন বর্মন। তিনি শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোটে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। যদিও এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপির দাবি ছিল, এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।
গত বছর চারচাকা গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। এগরা পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। সাদা রঙের একটি গাড়ি থেকে প্রায় ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছিল এগরা থানার পুলিশ।সন্ধ্যা বেলা আচমকাই পুলিশ হানা দিয়ে ওই গাড়িটিকে আটক করে। তল্লাশি চালিয়ে দেখতে পায়, গাড়িটিতে ৫০ কেজির বেশি গাঁজা রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গাড়িটি কলকাতা সংলগ্ন এলাকার গাড়ি। সুজয় দাস নামে এক ব্যক্তি কলকাতা থেকে গাড়িটি কিনে ৭ নং ওয়ার্ডে একটি রাস্তার পাশে কয়েকদিন ধরে ফেলে রেখেছিল। তিন দিন ধরে গাড়িটি কেন একই জায়গায় পড়ে রয়েছে তা নিয়ে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। এরপর খবর দেওয়া হলে এগরা থানার পুলিশ এসে তল্লাশি চালিয়ে গাড়ি থেকে গাঁজা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তবে, কীভাবে ৩ দিন গাঁজা ভর্তি গাড়িটি রাস্তার পাশে পড়ে ছিল তা প্রশ্ন উঠেছিল।
আরও পড়ুন, 'উত্তরপ্রদেশেও পিসি-ভাইপো চলেনি, বাংলাতেও..', I.N.D.I.A বৈঠকের দিনে খোঁচা অনুরাগের
প্রসঙ্গত,গত বছর অগাস্ট মাসে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও নগদ টাকা-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল বর্ধমান থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে দুই জন মহিলা। উদ্ধার করা হয় প্রায় ৪১ কেজি গাঁজা ও নগদ ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৪৪০ টাকা। বর্ধমান শহরের লক্ষ্মীপুরমাঠ এলাকার ঘটনা। গত মে মাসে ভিন রাজ্য থেকে গাঁজা আমদানি করা হচ্ছিল বস্তা বস্তা (Marijuana Smuggling)। পুলিশ প্রশাসনের চোখে ধুলো দিতে ব্যবস্থাপনাও ছিল অভিনব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গা বাঁচানো যায়নি না। বরং বস্তা বস্তা গাঁজা সমেত ধরা পড়ে ছ'জন। ওড়িশা থেকে ওই বস্তা বস্তা গাঁজা আনা হচ্ছিল। স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের (STF) আধিকারিকদের হাতে গ্রেফতার হয় ওই ছ'জন। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের শ্যামপুরের কাছে একটি ট্রাক থেকে নয় নয় করে মোট ২২ বস্তা গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে ওজন হবে প্রায় ৩৫০ কেজি। এই বিপুল পরিমাণ গাঁজার দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কয়েক লক্ষ টাকা। ট্রাকের মধ্যে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে আনা হচ্ছিল।