Migrant Worker Torture: গ্রেফতারির পর হেনস্থার অভিযোগ, মুক্তির দাবিতে সরব পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবার
Malda News: খোদ প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের বিধানসভা কেন্দ্র হরিশ্চন্দ্রপুর থেকেই উঠল এমন ভয়ঙ্কর অভিযোগ।

মালদা: ফের ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের আটকে রাখার অভিযোগ। ফের ঘটনাস্থল হরিয়ানা। বিজেপি শাসিত হরিয়ানার গুরুগ্রামে বাংলাদেশি সন্দেহে বাংলার ৭ পরিযায়ী শ্রমিককে গ্রেফতারির পর হেনস্থার অভিযোগ উঠল। ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে অত্যাচারের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। মুক্তিদের দাবিতে সরব হয়েছেন পরিজনেরা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল বিধায়ক তাজমুল হোসেন।
মালদার ৭ পরিযায়ী শ্রমিককে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল হরিয়ানার গুরুগ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে। খোদ প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের বিধানসভা কেন্দ্র হরিশ্চন্দ্রপুর থেকেই উঠল এমন ভয়ঙ্কর অভিযোগ। পরিযায়ী শ্রমিকদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন আত্মীয় পরিজনেরা। পরিযায়ী শ্রমিকের মা আরমানি বেওয়া বলেন, "ছেলে-পুলেকে খেতে দেয়নি, কিছু দেয়নি। অশান্তিতে রেখেছে। আমাদের ছেলেপুলে খাটবে না তো খাব কী? হিমঘরের মতো ধরে ধরে একটা কুঠির মতো ঘরে গাদাগাদি করে, ছাগল-গরুকে যেমন ভরে দেয় ওরকম করে ভরে দিল। এদের বাংলাদেশি বলছে। বাঙালি তো আর হিন্দি কথা বলতে পারবে না। বাংলাদেশি যারা তাদের ধরুক, ভারতের লোককে কেন ধরছে? ভারতের লোকের ওপর কেন এত অত্যাচার?''
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ১০ - ১৫ দিন আগে, নির্মাণের কাজে হরিয়ানার গুরুগ্রামে যান মালদা হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দা আজমল হোসেন, লোকমান আলি, উসমান আলি, মণিরুল ইসলাম, সাদিকুল ইসলাম, প্রসেন দাস ও অভিজিৎ দাসেরা। তাঁদের সকলের কাছেই রয়েছে আধার কার্ড, ভোটার কার্ডের মতো পরিচয়পত্রও। অভিযোগ তারপরও, শুধুমাত্র বাংলাভাষী হওয়ায়, বুধবার রাতে, নিজের ঘর থেকে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করে নিয়ে যায় হরিয়ানার পুলিশ। পরিযায়ী শ্রমিকের মা সবিতা দাস বলেন, "খাটতে গেছিল আমার ছেলে। বাংলাদেশি বলে ধরে নিয়ে গেছে। বলল কী, ওখান থেকে ধরে নিয়ে গেল পুলিশ। নথি দিচ্ছি, কিছুই মানছে না ওঁরা। মারধরও করেছে।''
এর আগে বাংলাদেশের নাগরিক সন্দেহে হরিয়ানায় আটক করা হয় নদিয়ার ২৫-৩০ জন পরিযায়ী শ্রমিককে। পরিবার সূত্রে খবর পাওয়া যায়, তেহট্ট, পলাশিপাড়া ও নাকাশিপাড়া থেকে ওই শ্রমিকরা বেশ কয়েক বছর আগে হরিয়ানায় কাজ করতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, দিনকয়েক আগে বাংলাদেশি তকমা দিয়ে ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের আটক করা হয়েছে। ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, আধার কার্ড দেখানো সত্ত্বেও রেহাই মেলেনি বলে অভিযোগ তুলেছে পরিবার। ইতিমধ্যেই তেহট্ট, পলাশিপাড়া ও নাকাশিপাড়া থানায় বিষয়টি জানিয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবার।




















