Malda News: জনবহুল রাস্তায় হত্যা, কেন খুন করা হল মালদার তৃণমূল নেতাকে?
TMC Worker Death: স্থানীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েতের রাশ কার হাতে থাকবে এবং এলাকার দখলদারি কে নেবে মূলত এই নিয়েই দুই তৃণমূল নেতা বকুল শেখ এবং জাকির শেখের বিবাদ।
করুণাময় সিংহ ও অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: দিনের আলোয়, জনবহুল রাস্তায় খুন করা হল তৃণমূল কর্মীকে। আহত হলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ও তাঁর ভাই। অভিযুক্ত তৃণমূলেরই কর্মী। স্থানীয় সূত্রে দাবি, এই ঘটনার নেপথ্য়ে রয়েছে এলাকা দখলের লড়াই।
ঠিক কী ঘটেছিল?
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ কালিয়াচকের সালেপুরে পঞ্চায়েতের তৈরি রাস্তার শিলান্য়াসে যান তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখ। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই এসারউদ্দিন ও তৃণমূল কর্মী আতাউল হক ওরফে হাসু। ফেরার সময়, ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের লাগোয়া রাস্তায় তাঁদের ওপর হামলা চালায় ১০-১৫ জন। বেধড়ক মারধর করা হয় অঞ্চল সভাপতি, তাঁর ভাই ও তৃণমূল কর্মীকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী আতাউল হক ওরফে হাসুর। দুলাল সরকার খুনের মতো, এই ঘটনাতেও সামনে এসেছে তৃণমূল বনাম তৃণমূলের লড়াই। কালিয়াচকের এই ঘটনা যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, তা স্বীকার করে নিয়েছেন খোদ মালদারই তৃণমূল বিধায়ক।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েতের রাশ কার হাতে থাকবে এবং এলাকার দখলদারি কে নেবে মূলত এই নিয়েই দুই তৃণমূল নেতা বকুল শেখ এবং জাকির শেখের বিবাদ। ২০১৬ সালে প্রায় একই সময়ে তৃণমূলে যোগ দেন বকুল শেখ ও জাকির শেখ। মাঝে জাকির কিছুদিনের জন্য় তৃণমূল ছে়ড়ে কংগ্রেসে যান। ২০২৪-এর ২৪ অক্টোবর জাকিরের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন ঘটে। সেই সময়কার ছবিতে মঞ্চে দেখা গেছিল মালদা জেলার তৃণমূলের সভাপতি আবদুর রহিম বক্সীকে। কিন্তু এখন সেই জাকিরের বিরুদ্ধেই তৃণমূলকর্মীকে খুনের অভিযোগ ওঠার পর, তাঁকে চিনতেই পারছেন না তৃণমূলের সেই জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি। তাঁর দাবি, "জেলা সভাপতি হিসেবে জাকির শেখকে চিনি না। দেখিনি কোনওদিন। এক নম্বর কথা। আর দ্বিতীয় আমাদের হাত ধরে ও তৃণমূল কংগ্রেসে আসেনি। কীভাবে তৃণমূলে এসেছে, অনেক দুষ্কৃতীরা আশ্রয় নেওয়ার জন্য ছলে-বলে-কৌশলে তৃণমূলের নাম ব্য়বহার করার চেষ্টা করে। কখনও তৃণমূলের মঞ্চে উঠে যায়। ও তৃণমূল করে না। আমরা ওকে তৃণমূলে স্থানও দিইনি। পতাকাও ধরাইনি।''
২ জানুয়ারি খুন হন তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি দুলাল সরকার। গ্রেফতার হন তৃণমূলেরই আরেক দাপুটে নেতা। রেলের মাল ওঠানো-নামানো নিয়ে যে টাকা উড়ছে, তার ভাগ কে পাবে, তাই নিয়েই না কি খুন। কিন্তু সেই খুনের রহস্য় উদঘাটের আগেই আরেকটা খুন। নিহত তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারের স্ত্রী চৈতালি সরকার এপ্রসঙ্গে বলেন, "অত্যন্ত দুঃখজনক কোনও মৃত্যুই যদি আমাদের যদি না শেখাতে পার। আমাদের দল বড় হয়েছে। বিভিন্ন দল থেকে স্বার্থান্বেষী মানুষ এসেছে।''