(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Malda: মূল্যবৃদ্ধির চাপে নাজেহাল অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা, শিশুপিছু বরাদ্দ বাড়ানোর দাবিতে ডেপুটেশন জমা
Malda News: দেশজুড়ে চলছে চরম মূল্যবৃদ্ধি। নাজেহাল সাধারণ মানুষ। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এবার এই মূল্যবৃদ্ধির দাপটে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার চালাতে পারছেন না কর্মীরা।
অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: জিনিসপত্রের চরম মূল্যবৃদ্ধি (Price Hike)! সেন্টার চালাতে অক্ষম আইসিডিএস (ICDS) অর্থাৎ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা, সঠিক সময়ে মিলছে না বিল। তাই অবিলম্বে মাথাপিছু বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ও সঠিক সময় বিল না পেলে বৃহত্তর আন্দোলনের পাশাপাশি রান্না বন্ধের চরম হুঁশিয়ারি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের।
বাড়ছে জিনিসের দাম, ডেপুটেশন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের
দেশজুড়ে চলছে চরম মূল্যবৃদ্ধি। নাজেহাল সাধারণ মানুষ। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এবার এই মূল্যবৃদ্ধির দাপটে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার চালাতে পারছেন না কর্মীরা। তাই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের শিশুদের মাথাপিছু বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিতে এদিন মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর সিডিপিওর (CDPO) দফতরে ডেপুটেশন (Deputation) জমা দিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বরের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা।
তাঁরা জানান সরকার অঙ্গনওয়াড়িতে শিশুদের মাথা প্রতি ডিমের জন্য ৫ টাকা করে বরাদ্দ করেছে। কিন্তু শিশুদের জন্য ডিম কিনতে প্রতি ডিমে সাত টাকা বেরিয়ে যায়। এরপরে আলু সহ মশলা কিনতে আরও খরচ রয়েছে। ২৮ পয়সা করে শিশুর প্রতি আলুর জন্য পাওয়া যায়। তারপর জ্বালানি খরচ সহ আরও অন্যান্য খরচ আছে। যেগুলি কোনও মতেই বাকি পয়সায় করা সম্ভব হচ্ছে না।
এছাড়া রয়েছে আরও এক সমস্যা। সঠিক সময় বিল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই জন্য অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে কর্মীদের। অবিলম্বে যাতে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে শিশুদের মাথাপিছু বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয় এবং পাশাপাশি সঠিক সময়ে বিল যেন পাওয়া যায় সেই বিষয়ে আজ তাঁরা 'চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট অফিসার' অনুপ সরকারকে ডেপুটেশন প্রদান করেছেন বলে জানান অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। তাঁদের হুঁশিয়ারি অবিলম্বে মাথাপিছু বরাদ্দ না বৃদ্ধি পেলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। এমনকী তাঁদের দাবি না মানা হলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্না বন্ধেরও চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
কী বলছেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা
আইসিডিএস কর্মী সুজাতা সাহা বলেন, 'ডিমের দাম আকাঁশছোয়া। বর্তমান বাজারে একেকটা ডিমের মূল্য ৭ টাকা। কিন্তু সরকারি অর্থে বরাদ্দ রয়েছে ৫ টাকা। যার ফলে আমরা ঘর থেকে টাকা দিয়ে সেন্টারে শিশুদের ডিম দিচ্ছি। শুধু ডিম নয়, আলুর দামও চড়া। বাজারে কেজি দরে মিলছে ৩০ টাকা। কিন্তু সরকারি বরাদ্দে সঠিক বিল পাওয়া যাচ্ছে না। যার কারণে অধিকাংশ দিনই ঘর থেকে টাকা লাগিয়ে সেন্টার চালাতে হচ্ছে। আমরা সেন্টার চালাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছি। রেহাই পেতে সিডিপিওর দারস্থ হয়েছি।'
আরও পড়ুন: Nadia News: শিশু বিকাশ প্রকল্পের রান্না করা খাবারে পোকা, এলাকায় উত্তেজনা
আরও এক আইসিডিএস কর্মী পপি চক্রবর্তী বলেন, 'আমাদের দাবি বাজার দর অনুযায়ী অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পুষ্টিকর খাদ্যের অর্থ বরাদ্দ করা হোক। সেইভাবে হলে সপ্তাহের ছয়দিনই শিশুদের ডিম দিতে পারব।'
এদিকে এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুরের সিডিপিও অনুপ সরকার জানান এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা আজ তাদের দাবি নিয়ে ডেপুটেশন জমা করেন। তাদের সমস্ত দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।