Malda : বিশ্ববিদ্যালয়ের অসমাপ্ত হস্টেলে ওয়াই-ফাই পরিষেবা চালুর নামে তুলে নেওয়া হয়েছে ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা ?
WIFI Service : ২০১৮ সাল থেকে কাজ শুরু হওয়ার পর এখনও শেষ হয়নি হস্টেল নির্মাণ। পড়ুয়াদের থাকার মতো পরিকাঠামোও তৈরি হয়নি
করুণাময় সিংহ, মালদা : হস্টেল তৈরির কাজই শেষ হয়নি। অথচ সেই হস্টেলে ওয়াই-ফাই পরিষেবা চালুর কারণ দেখিয়ে, কাজ না করেই তুলে নেওয়া হয়েছে ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা ! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ মালদার (Malda) গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে (Gour Banga University)। এনিয়ে উপাচার্যের বক্তব্য, তদন্ত চলছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
অসমাপ্ত হস্টেলেই ওয়াই-ফাই পরিষেবা ?
২০১৮ সাল থেকে কাজ শুরু হওয়ার পর এখনও শেষ হয়নি হস্টেল নির্মাণ। পড়ুয়াদের থাকার মতো পরিকাঠামোও তৈরি হয়নি। অথচ মালদার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অসমাপ্ত হস্টেলেই ওয়াই-ফাই পরিষেবা চালুর নামে ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকার আর্থিক অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ ! বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক অধ্যাপক প্রথম এবিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন ; প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা নেই, রাতের অন্ধকারে মাটি চুরি খোদ তৃণমূল নেতার! অভিযোগ ঘিরে তপ্ত মালদা
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে দাবি, ২০১৯ সালের শেষ দিকে ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা খরচ করে ক্যাম্পাসের হস্টেলে ওয়াই-ফাই বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই অধ্যাপকের অভিযোগ, নির্মীয়মাণ হস্টেলে ওয়াই-ফাই পরিষেবা বসানোর কোনও কাজ না করেই টেন্ডারের মাধ্যমে পুরো টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে উচ্চ শিক্ষা দফতর। তৎকালীন সময়ে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন বিনয় কৃষ্ণ হালদার, বর্তমানে ডেপুটি কন্ট্রোলার পদে রয়েছেন তিনি। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি কন্ট্রোলার বিনয়কৃষ্ণ হালদার বলেন, তদন্ত কমিটি আমার কাছে যা জানতে চেয়েছিল আমি সবই জানিয়েছি। আমাকে যেভাবে বলা হয়েছিল, সেভাবেই আমি টেন্ডার করেছিলাম।
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য শান্তি ছেত্রী বলেন, তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। তদন্ত চলছে।
এদিকে বিজেপির অভিযোগ, শিক্ষক নিয়োগ থেকে ছাত্র ভর্তি, সবেতেই গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতি চলছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছে তারা।
মালদা জেলা তৃণমূলের সভাপতি প্রসূন রায় বলেন, তদন্ত কমিটির ওপর আস্থা আছে। যদি জায়গা নেই অথচ সেই জায়গা দেখিয়ে ওয়াই-ফাই বসানোর অর্থ মঞ্জুর করা হয়েছে, তাহলে সেই বিষয়ে সঠিক তদন্ত হোক এবং দোষীরা সামনে আসুক।
স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে রাজ্য যখন তোলপাড় তখন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়াই-ফাই কাণ্ডে চাপানউতোর চরমে।