Malda: মালদায় ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল, কটাক্ষ বিজেপির
Malda: মালদার কালিয়াচক ৩ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির অপসারণ ঘিরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। প্রকাশ্যে বিধায়ক বনাম ব্লক সভাপতি দ্বন্দ্ব।
করুণাময় সিংহ, কালিয়াচক: তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল তৃণমূলেরই একাংশ। এর ফলে অপসারিত হতে হল কালিয়াচক ৩ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে। মালদায় দলের অন্দরে অনাস্থা বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না শাসক শিবিরের।
কালিয়াচক ৩ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির ৪২টি আসন। গত পঞ্চায়েত ভোটে তার ২৭টি আসন দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। বাকি আসনের ১০টি পায় বিজেপি, কংগ্রেস ২টি, বামেরা ১টি এবং নির্দল ২টি আসন পায়। এরপর বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। সম্প্রতি সভাপতি শাহানারা খাতুনের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন তৃণমূলেরই সদস্যরা। তাতেই অপসারিত হন শাহানারা। বৈষ্ণবনগরের তৃণমূল বিধায়কের অভিযোগ, 'কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের দলীয় সভাপতি বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে শাহানারাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছেন।'
বৈষ্ণবনগরের তৃণমূল বিধায়ক চন্দনা সরকার বলেন, 'বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে দলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে অপসারণ করা হয়েছে। অপসারণ করিয়েছেন ব্লক সভাপতি।' অন্যদিকে তৃণমূল ব্লক সভাপতির পাল্টা দাবি, বর্তমানে পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপির কোনও অস্তিত্বই নেই। ফলে এই অভিযোগের কোনও মানেই নেই। কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দুর্গেশ সরকার বলেন, '২০১৮ সালে বিজেপি সদস্যরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন তৎকালীন জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের হাত ধরে। এই পঞ্চায়েত সমিতিতে বিরোধী বলে কেউ নেই।'
স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের এই কোন্দল নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। মালদার বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডলের কথায়, 'গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার তৃণমূল। দুর্নীতিগ্রস্ত প্রধান বা সভাপতিকে সরাতে বিজেপির সদস্যরা সাহায্য করবে।'
মালদার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি জানান, 'অপসারণের কথা শুনেছি। কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
যদিও মালদায় তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব এই প্রথম নয়। এর আগে কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের বীরনগর ২ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতে তৃণমূলের অনাস্থায় সরতে হয়েছিল তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে।