Malda: তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনাস্থা ডেকে বিপাকে বিজেপি, গরহাজির সদস্যরাই
অনাস্থাকারী সদস্যরা অনুপস্থিত থাকায় হারিয়ে গেল অনাস্থা প্রস্তাব।
করুণাময় সিংহ, মালদা: তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ডেকে ফের মুখ পুড়ল বিজেপির। অনাস্থাকারী সদস্যরা অনুপস্থিত থাকায় হারিয়ে গেল অনাস্থা প্রস্তাব। স্বপদে বহাল থাকলো প্রধান ও উপ-প্রধান। মালদার চাঁচল-২ নং ব্লকের মালতিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলের সদস্যরা।
মঙ্গলবার অনুস্ঠিত হয় তৃণমূল পরিচালিত মালতিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তলবি সভা। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনাস্থা আনা সদস্যের গরহাজিরে পঞ্চায়েতের বোর্ড পূর্বের মতো স্বপদে বহাল থাকল বলে জানিয়েছেন চাঁচল-২ নং ব্লকের বিডিও দিব্যজ্যোতি দাস। উল্লেখ্য,২০১৮ সালের নির্বাচনে ২০ আসন বিশিষ্ট মালতিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে দশটিতে আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল।
বিজেপি ৩,কংগ্রেস ৫ ও সিপিআইএম ২ টি তে জয়ী হয়। বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয় মহম্মদ হালিম ও উপপ্রধান হয় মৌসুমী খাতুন। তবে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকেন বিজেপি কংগ্রেস সিপিএম ও তৃণমূলের দুই সদস্য। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় এদিন বিরোধীরা তলবি সভায় হাজির হননি। ফলে এই পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলেই থাকল।
অন্যদিকে, দলবদলের জল্পনা উড়িয়ে দিলেন বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ি। বললেন, বিজেপিতেই থাকবেন। অন্যদিকে, আচমকাই বিজেপির সাংস্কৃতিক আহ্বায়কের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অভিনেতা সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়।
কয়েকদিন ধরেই তাঁর দলবদল ঘিরে জল্পনা তৈরি হচ্ছিল। আজ দলবদলের জল্পনা ওড়ালেন বালুরঘাটের বিজেপির বিধায়ক অশোক লাহিড়ি। বললেন, আমার নামে যে রটনা চলছে, সেটা মিথ্যে। আমি বিজেপির বিধায়ক। বালুরঘাট থেকে জিতেছি। বিজেপিরই এমএলএ আছি।
বিধানসভা ভোটে হারের পর থেকেই রাজ্য বিজেপিতে শুরু হয়েছে ভাঙন। কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় থেকে শুরু করে বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। বাগদার বিশ্বজিৎ দাস থেকে শুরু করে কালিয়াগঞ্জের সৌমেন রায়-- একে একে চারজনই তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়েছেন।