Malda News: বাইরে থেকে দেখলে আমের পেটি, ভিতরে মদের বোতল!
Malda Drug Trafficking Under Mango Supply: বাংলা থেকে বিহারের পথে আমের পেটির ভিতরে মদ পাচার ! পেটি খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের..
করুণাময় সিংহ,মালদা: আমের পেটির ভিতরে মদ পাচার (Malda Drug Trafficking )! পেটি খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। গোপন সূত্রের খবর, এর মাধ্যমে এক বড়সড় মাদক চোরাচালানকারীর হদিশ পেল পুলিশ। যেখানে আমের (Mango Supply) পেটিতে করে পাচার করা হচ্ছিল মদ। গাজোল থেকে সেই মদগুলি পাচার করা হচ্ছিল বিহারের পথে। গ্রেফতার করা হয় চারজনকে। যার মধ্যে একজন গাজোলের বাসিন্দা। অন্যদিকে তিনজন বিহারের বাসিন্দা। আটক করা হয়েছে একটি বোলেরো পিকআপ গাড়ি।
গোপন সূত্রের খবরের মাধ্যমে গাজোল থানার পুলিশ গাজোল থানার সাব-ইন্সপেক্টর ওমার ফারুকের নেতৃত্বে অভিযান চালায় গাজোলের আনন্দ পল্লী এলাকায় গাজোল- চাঁচোল ৮১ নং জাতীয় সড়কে। গোপন সূত্রে খবরের মাধ্যমে একটি গাড়িকে চিহ্নিত করে সেটিকে আটকায় পুলিশ। সেই গাড়ি তল্লাশি চালাতে গিয়ে দেখা যায় থরে থরে সাজানো রয়েছে আমের পেটি। কিন্তু সেই আমের পেটি খুলতেই চক্ষু চড়ক গাছ হয় পুলিশের। যেখানে আম থাকার কথা ছিল সেখানে থরে থরে সাজানো রয়েছে মদের বোতল। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই মদগুলি আলমপুর এলাকা থেকে নিয়ে আসা হচ্ছিল। পাচার হওয়ার কথা ছিল বিহারে। চাঁচল পেরিয়ে বাংলার সীমান্ত পার করা হতো মদগুলি। ঘটনায় একটি বোলেরো পিকআপ গাড়ি কে আটক করার পাশাপাশি আটক করা হয়েছে চারজনকে।
সবমিলিয়ে মোট ৬৭২ বোতল মদ উদ্ধার করেছে পুলিশ। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা। জানা যাচ্ছে ধৃতদের নাম অমল মণ্ডল , বয়স ৩৫ বাড়ি গাজোল থানার অন্তর্গত আদিনার কুরুলিয়া এলাকায়। এছাড়াও কুশ কুমার, বয়স ২০, দিলীপ মাহাতো ৫২, সুন্নু কুমার বয়স ২৪ বছর। তিনজনের বাড়ি বিহারের বৈশালী এলাকায়। গাড়ি-সহ মদগুলি বাজেয়াপ্ত করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। অন্যদিকে চারজনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুরো ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে গাজোল থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন, CCTV ফুটেজ দেখে হাতে এল তথ্য, আইফোন-ল্যাপটপ চুরি করে শ্রীঘরে গুণধর
প্রসঙ্গত, এই ঘটনার আগেও পাচারের ক্ষেত্রে একাধিক অভিনব পদ্ধতি নিতে দেখা গিয়েছে পাচারকারীদের। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। এর আগে ভিনরাজ্যের মাদক পাচারের জন্য মাছের পেটিকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই অভিনব পদ্ধতিও মুখ থুবড়ে পড়েছে। শেষ অবধি পর্দাফাঁস করেছে এসটিএফ।