Malda News: টিটেনাসের বদলে মহিলাকে ভুল করে কুকুরে কামড়ানোর ইঞ্জেকশন, চিকিত্সককে ঘিরে বিক্ষোভ
পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল কাঁচিতে হাতের তালু কেটে যায় মহিলার। টিটেনাস নিতে যান হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে।
অভিজিৎ চৌধুরী, হরিশচন্দ্রপুর (মালদা): টিটেনাস নিতে যাওয়া মহিলাকে ভুল করে কুকুরে কামড়ানোর ইঞ্জেকশন দেওয়ার অভিযোগ। চিকিত্সককে ঘিরে বিক্ষোভ। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের ঘটনা। পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল কাঁচিতে হাতের তালু কেটে যায় মহিলার। টিটেনাস নিতে যান হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। অভিযোগ, টিটেনাসের পরিবর্তে স্বাস্থ্য কর্মী ভুল করে মহিলাকে কুকুরে কামড়ানোর ইঞ্জেকশন দিয়ে দেন। বাড়ি ফিরে মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে দাবি। এই নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন গ্রামীণ হাসপাতালের আধিকারিকরা। ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি কর্তব্যরত চিকিত্সক। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
জানা গিয়েছে, সঙ্গীতা গুপ্তা হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকার কলম পাড়ার বাসিন্দা। তিনি একটি সেলাইয়ের দোকান চালান। সেলাই করতে গিয়ে কাঁচি দিয়ে তার হাতের তালু কেটে যায়। তিনি দেরি না করে স্থানীয় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে যান টিটেনাসের টিকা নিতে। সে সময়ে হাসপাতালে কুকুর বিড়াল কামড়ানর ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছিল। তিনি কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান তাঁর হাত কেটেছে টিটেনাস নিতে হবে।
এ সময়ে এক কর্তব্যরত নার্স সঙ্গীতার হাতে পরপর দুটি ইনজেকশন দিয়ে দেন। আবার তাঁর হাতে তৃতীয় ইনজেকশন দিতে এলে সঙ্গীতার সন্দেহ হয় এবং তিনি ইঞ্জেকশন দিতে বাধা দেন এবং কর্তব্যরত নার্সকে জিজ্ঞেস করেন তাঁকে এত ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে কেন?
তখনই তিনি জানতে পারেন ভুলবশত কর্তব্যরত নার্স কুকুর কামড়ানোর অ্যান্টি রেবিস ইনজেকশন দিয়ে দিয়েছেন। তিনি তৎক্ষণাৎ হাসপাতালের বি এম ও এইচ ডক্টর অমল কৃষ্ণ মণ্ডলের কাছে যান। ডাক্তারবাবু তাকে আশ্বস্ত করেন ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ভুল করে কুকুর কামড়ালে ইনজেকশন দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শীঘ্রই টিটেনাস নেওয়ার জন্য হাসপাতালে আবার পাঠিয়ে দেন। সঙ্গে এও জানানো হয় যেহেতু ইতিমধ্যেই দুটি ডোজ দেওয়া হয়েছে তাই কুকুর কামড়ানোর ভ্যাকসিনের বাকি ডোজও পরবর্তী দিনে এসে নিতে হবে তাঁকে। পরিবারের দাবি গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন সঙ্গীতা। পরিবারের লোকেরা জানান সঙ্গীতা বাড়িতে এসে কয়েকবার বমি। ভুল ইনজেকশন দেওয়াতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি সঙ্গীতার পরিবারের।
এদিকে হাসপাতালের কাজে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। যদিও এ প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটেছেন হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। কর্তব্যরত চিকিৎসককে প্রশ্ন করা হলে তিনিও কোনও মন্তব্য করতে চাননি।