Malda: বিজেপিকে ভোট দেওয়ায় মিলছে না পানীয় জল, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ
Malda News: পরিস্থিতি এমনই কঠিন যে একটিমাত্র ট্যাপ কলের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে অসংখ্য পরিবারকে। ফলে সেখানে এখন জল নিয়ে ঝগড়া, হাতাহাতি নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: পানীয় জল (Drinking Water)-কে কেন্দ্র করে ঝগড়া, হাতাহাতি হরিশ্চন্দ্রপুরে। অভিযোগ ঠিক কী? ঠিক করে মিলছে না পানীয় জল। জলের জন্য হাহাকার তৈরি হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর (Harishchandrapur) সদর এলাকায়।
বিজেপিকে (BJP) ভোট দেওয়ায় বঞ্চিত করা হয়েছে সদর এলাকার মানুষদের। এমনই খোঁচা বিজেপির। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের (TMC)। শুরু চাপানউতোর।
পানীয় জল নিয়ে ঝগড়া, হাতাহাতি
বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কারণে শাস্তি স্বরূপ পানীয় জল থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে অধিকাংশ পরিবারকে। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের সদর এলাকার অসংখ্য পরিবার পানীয় জল পাচ্ছেন না। এমনকী হাসপাতালের পরিস্থিতিও একইরকম। পানীয় জল পাচ্ছেন না হাসপাতালে আসা রোগীর পরিবারের লোকজন। এমনই অভিযোগ মানুষের।
পরিস্থিতি এমনই কঠিন যে একটিমাত্র ট্যাপ কলের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে অসংখ্য পরিবারকে। ফলে সেখানে এখন জল নিয়ে ঝগড়া, হাতাহাতি নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত লোকসভা, বিধানসভা ভোটে হরিশ্চন্দ্রপুরের কলম পাড়া, বারোডাঙ্গা, হাসপাতাল পাড়া, বাজার পাড়া, ইত্যাদি এলাকায় বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের ধারে কাছে ঘেঁষতে পারেনি তৃণমূল। বিধানসভায় ক্ষমতায় আসার পরেও বিজেপির মাটি এখানে বেশ শক্ত। আর এটাই দায় হয়েছে বলেই অভিযোগ।
অভিযোগ এই সব এলাকায় পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট থাকলেও আশাপাশের সেই সব এলাকায় যেখানে তৃণমূল ভোট অনেক বেশি সেখানে পানীয় জলের কোনও সমস্যা নেই। উল্টে সেখানে প্রায় ঘরে ঘরে কল বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ পানীয় জল থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে সদর এলাকার মানুষদের।
কেমন অবস্থা পানীয় জলের?
প্রায় ১২ থেকে ১৫ বছর বা তারও বহু আগে তৈরি জলাধার বা ট্যাপকল গুলি তৈরি হয়েছিল। এখন সবই প্রায় অকেজো বা পরিত্যক্ত। সেই কলগুলিকে সংস্কার পর্যন্ত করা হয়নি বলে অভিযোগ। আগাছায় ভরে গেছে সর্বত্র। এমনকী হাসপাতালের জলাধারগুলির অবস্থাও করুণ। বহু জায়গায় পানীয় জলের পাইপ বন্ধ হয়ে গেছে বা ফেটে নষ্ট হয়েছে। বার বার এই নিয়ে পঞ্চায়েত থেকে ব্লক প্রশাসন সর্বত্র দরবার করেও ফল মেলেনি। অদ্ভুত এক অঙ্গুলি হেলনে পানীয় জলের ব্যবস্থা হতে গিয়েও বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ এই সব এলাকায়। তীব্র গরমে পুকুরের জল খেতেও বাধ্য হচ্ছেন কেউ কেউ। যদিও পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট নিয়ে আগামীতে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: Nobel Prize: ‘নোবেল চুরির সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস জড়িত’, ২৫শে বৈশাখে বিস্ফোরক রাহুল সিনহা
বিজেপির অভিযোগ সদর এলাকা থেকে শাসকদলের ঝুলিতে ভোট না মেলায় বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। কাটমানি পেলে অনেক দিন আগে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের ব্যবস্থা হয়ে যেত খোঁচা জেলা বিজেপি সাংগঠনিক সম্পাদক রূপেশ অগরওয়ালের। অন্যদিকে বিজেপির পায়ের তলায় মাটি নেই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন দেখে ভুলভাল বকছে বিজেপি, ২০২৪ সালের মধ্যে বাড়ি বাড়ি ট্যাপ কল বসে যাবে বলে, সাফাই শাসকদলের বিধায়ক তজমুল হোসেনের। যা নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপির চাপানউতোর।
ফোনে যোগাযোগ করা হলে হরিশ্চন্দ্রপুরে পানীয় জলের সমস্যা প্রসঙ্গে পি এইচ ই দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার পৃথ্বীশ ভট্টাচার্য বলেন, 'কিছু সমস্যা আছে। লোকসংখ্যা বেড়েছে। আরও বেশ কিছু প্রকল্প ধরা হয়েছে। পুরনো প্রকল্প সংস্করণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।'