Malda News: ১ বছর ধরে মালদার দুলাল খুনের পরিকল্পনা, 'দুষ্কৃতীদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করেছিলেন বহিষ্কৃত TMC নেতা..' !
Malda TMC leader Murder Case Update : এবার মালদার তৃণমূল নেতা খুনে পুলিশের হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য , ১ বছর ধরে ছক কষে দুলাল সরকারকে খুনের পরিকল্পনা!
মালদা: ১ বছর ধরে ছক কষে দুলাল সরকারকে খুনের পরিকল্পনা! 'গত ২ মাস ধরে মালদায় ঘাঁটি গেড়েছিল সুপারি কিলাররা', মালদা হত্যাকাণ্ডে পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ইতিমধ্যেই মালদা তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতারির পর বহিষ্কৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। এবার মালদার তৃণমূল নেতা খুনে পুলিশের হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। 'তৃণমূল নেতাকে খুনের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার সুপারি। দুষ্কৃতীদের থাকা-খাওয়ার সব বন্দোবস্ত করেছিলেন নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। দুষ্কৃতীদের মধ্যে টাকা ভাগ করে দেওয়ার দায়িত্বে ছিল রোহন ও বাবলু। দুষ্কৃতীদের ৩০-৪০ হাজার টাকা করে অগ্রিম দেওয়া হয়েছিল', মালদা হত্যাকাণ্ডে পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য। 'নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির বাড়িতে রোহন-সহ বাকি অভিযুক্তদের যাতায়াত ছিল', জেরায় দাবি ধৃত স্বপন শর্মার, পুলিশ সূত্রে দাবি।
পুলিশ সূত্রে খবর, ইংরেজবাজারে তৃণমূল নেতাকে খুনের পর, মানিকচক হয়ে বিহারে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল দুষ্কৃতীরা। ১ জন বিহারে পালিয়ে যেতে পারলেও, পালানোর সময়ই ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, এই সমস্ত খুনের পিছনে প্রোমোটাররাজ আছে। আপনি ঘরের মধ্য়ে খুঁজুন, বাইরে খুঁজে লাভ নেই। বিহার থেকে, ঝাড়খণ্ড থেকে টাকা না দিলে কেউ আসে না। টাকা দেওয়ার ক্ষমতা কাদের আছে? পশ্চিমবঙ্গের যারা তৃণমূলের বড় বড় কর্তা, বড় বড় মাফিয়া, নোট খরচ করার ক্ষমতা তাদের আছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মালদার তৃণমূল নেতাকে খুনের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছিল অনেকদিন আগে থেকেই। প্রায় ১৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে মালদায় ঘাঁটি গেড়েছিল সুপারি কিলাররা। ক্রিসমাস কার্নিভাল চলাকালীনই তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু কার্নিভালে বহু মানুষের জমায়েতের কারণে ভেস্তে যায় খুনের ছক। তৃণমূল নেতার প্রত্যেক মুহূর্তের গতিবিধি রেকি করতে থাকে দুষ্কৃতীরা।
তিনি কোথায় যান? কখন যান? পুরোটাই নখদর্পণে চলে এসেছিল সুপারি কিলারদের। প্রতিদিন মহানন্দা পল্লির বাড়ি থেকে বেরিয়ে কানির মোড়ে নিজের কার্যালয়ে যেতেন দুলাল সরকার।এরপর সেখান থেকে যেতেন মহানন্দা পল্লিতে তাঁর পাইপ ফ্যাক্টরিতে। সেখান থেকে ফিরে আসতেন কানির মোড়ে নিজের কার্যালয়ে। আর দিনের মধ্যে একমাত্র এই সময়টাই একা থাকতেন দুলাল সরকার।
আরও পড়ুন, বিতর্কিত সংস্থার স্যালাইনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, মৃত্যু প্রসূতির
কখনও নিজে স্কুটি চালিয়ে যেতেন, কখনও আবার যাতায়াত করতেন নিজের গাড়িতে। সঙ্গে থাকতেন গাড়ির চালক। আর তৃণমূল নেতার দৈনন্দিন এই রুটিন কার্যত জলের মতো মুখস্থ হয়ে গেছিল সুপারি কিলারদের কাছে। বৃহস্পতিবার সকালে এই সুযোগটাই নেয় দুষ্কৃতীরা। দৌড়ে পালিয়ে দোকানের ভিতর ঢুকে প্রাণে বাঁচার চেষ্টা করেন তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার। তাঁকে ধাওয়া করে দোকানে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীরাও। মৃত্যু নিশ্চিত করতে, তৃণমূল নেতার মাথায় গুলি করা হয়।