Malda News: 'দূরের জিনিস স্পষ্ট দেখেন, কাছেরটা ঝাপসা', মালদাকাণ্ডে মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর
Suvendu Attacks Mamata on Malda Violence: মালদায় দুই মহিলাকে 'বিবস্ত্র করে মারধর'-র ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি।
মালদা: মালদায় দুই মহিলাকে 'বিবস্ত্র করে মারধর'-র ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সাংসদ খগেন মুর্মুর নেতৃত্বে রাতভর এসপি অফিস ঘেরাও বিজেপির। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অমিত মালব্য, অনুরাগ ঠাকুর-সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। আর এবার মমতাকে নিশানা করে বিস্ফোরক ট্যুইট রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)।
প্রসঙ্গত, হিংসা আগুনে উত্তাল মণিপুর। আর এই ইস্যুতেই সদ্য ২১ জুলাই এর জনসভা থেকে মমতা ও অভিষেককে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছিল। এদিকে মালদার ঘটনাটি ঠিক তার পরপরই প্রকাশ্য়ে আসে। মূলত চুরির অভিযোগে মালদায় দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ ওঠে উন্মত্ত জনতার বিরুদ্ধে। আর এই ইস্যুতে 'নির্বাক দর্শক পুলিশ' অভিযোগ তুলেছে গতকাল থেকেই বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং অনুরাগ ঠাকুর। আর এবার মণিপুর প্রসঙ্গ না তুললেও মালদা ইস্যুতে তীব্র কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু। মমতাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, দূরদৃষ্টি স্পষ্ট থাকলেও, অনেক সময় কাছের জিনিসকে ঝাপসা দেখেন আপনি। রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি থাকা সত্বেও নিজেদের রাজ্যে ঘটা নৃশংস ঘটনা দেখতে পান না।
এদিকে মালদায় চুরির অভিযোগে ওই দুই মহিলাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে দাবি দুই নির্যাতিতার পরিবারের। এবার প্রশ্ন হচ্ছে, আদৌ কি এই অভিযোগ প্রকৃতই সত্য ? যদিও পরিবারের দাবি, হাটে লেবু বিক্রি করতে গিয়েছিলেন দুই জা। সেইসময় চোর সন্দেহে তাঁদের বিবস্ত্র করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন অমিত মালব্য। তিনি ট্যুইট করে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন,'পশ্চিমবঙ্গে আতঙ্ক অব্যহত। মালদায় দুই আদিবাসী মহিলাকে নগ্ন করে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এবং এই ঘটনার সময় নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল রাজ্য পুলিশ। ১৯ জুলাই সকালে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।'
আরও পড়ুন, 'ভোট দেওয়া ভুল হয়েছিল', টক টু মেয়রে ফোন করে অভিযোগ শিলিগুড়ির বাসিন্দার
যদিও গোটা ঘটনায় শাসকদলের তরফে প্রতিক্রিয়ায় অন্য যুক্তি রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার। তিনি বলেছেন,' যেই দুই জন মহিলা চোর ছিলেন, তাঁদেরকে পাঁকড়াও করেন যারা, তারাও মহিলা পুলিশ কর্মী। তাঁদের গ্রেফতার করার সময়, ধস্তাধস্তি হয়। বেচারারা সবাই গরীব।ধস্তাধস্তিতে কাপড় সরে যায়। কিন্তু এই ঘটনাকে রাজনীতির চশমায় কেন দেখা হচ্ছে ? পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য, ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা সিভিক পুলিশও এগিয়ে যায় , কিন্তু মহিলারা নিজের হাতে আইন-শৃঙ্খলা তুলে নিয়েছে। এটা তো ঠিক নয়। যাই হোক এটির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।'