Malda: RG কর কাণ্ডে তোলপাড়ের মধ্যেই আদিবাসী নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ মালদায়
Malda News: আর জি কর কাণ্ডে তোলপাড়ের আবহে আদিবাসী নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল মালদায়। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হবিবপুর থানা এলাকায়।
করুণাময় সিংহ, মালদা: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের (RG Kar News) ঘটনার প্রতিবাদে বিচার তোলপাড় গোটা রাজ্য, দেশ। মহিলাদের নিরাপত্তার দাবিতে সরব সকলেই। আর এরই মাঝে আরও এক ধর্ষণের ঘটনা। এবার মালদায় (Malda News)। আদিবাসী নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল কোয়াক ডাক্তারের বিরুদ্ধে।
ফের ধর্ষণ, এবার মালদায়, অভিযুক্ত এক হাতুড়ে চিকিৎসক
আর জি কর কাণ্ডে তোলপাড়ের আবহে আদিবাসী নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল মালদায়। এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হবিবপুর থানা এলাকায়। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এক হাতুড়ে চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, বুধবার বিকেলে মেডিক্যাল টেস্টের প্রশিক্ষণ দেওয়ার নাম করে বাড়িতে ডেকে, ওই আদিবাসী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে হাতুড়ে চিকিৎসক। সম্প্রতি বর্ধমানের গাংপুরে খুন হন উচ্চশিক্ষার এক আদিবাসী ছাত্রী। এবার মালদায় আদিবাসী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ঘটনা গত ২৮ অগাস্টের।
আর জি কর কাণ্ডে তোলপাড়ের আবহে কিছুদিন আগেও ধর্ষণের খবর মেলে এই মালদা থেকেই। মালদার ইংরেজবাজারে মাদক মেশানো পানীয় খাইয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও অভিযোগ ওঠে ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেল করে বারবার নির্যাতন করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে। অভিযোগ করা হয় যে এই বিষয়ে থানায় জানালে টাকার প্রলোভন, রাজি না হওয়ায় নাবালিকাকে মারধর ও হুমকিও দেওয়া হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত প্রতিবেশী যুবক। একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, ৭ অগাস্ট ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ জানালেও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। ২১ অগাস্ট পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয় নাবালিকার পরিবার। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।
আরও পড়ুন: Weather Update : শুক্রবার থেকেই ঘুরে যাবে আবহাওয়ার মোড়, বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দুপুর গড়ালেই
অন্যদিকে, আর জি কর কাণ্ডে একের পর এক রহস্য। প্রথমে বলা হয় শরীর খারাপ। তারপর জানানো হয় জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। আর শেষে বলা হয় আত্মহত্যার কথা। আর জি কর মেডিক্যালের নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে ফোন করে কি এভাবেই এক এক সময় এক এক রকম কথা বলা হয়েছিল? ভাইরাল অডিও ক্লিপে তৈরি হয়েছে নতুন জল্পনা। অডিয়োর প্রথম ক্লিপে এক মহিলা কণ্ঠকে বলতে শোনা যাচ্ছে, শরীর খারাপের কথা। ভাইরাল দ্বিতীয় অডিও ক্লিপে শোনা গেছে, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার পরিচয় দিয়ে এক মহিলা বলছেন - 'মেয়েকে জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে'। ভাইরাল অডিওর তৃতীয় ক্লিপে, মানে, সব শেষে বলা হয়েছে, মেয়ে হয়তো আত্মঘাতী হয়েছেন। কেন বারবার বয়ান বদল? কী আসল সত্যিটা? উঠছে একগুচ্ছ প্রশ্ন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।