Malda News: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী জমির পাট্টা বিতরণ কর্মসূচি ঘিরেও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল
TMC Infighting Comes To Forefront:পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং ভূমি কর্মাধ্যক্ষের অনুগামীদের মধ্যে বচসাকে কেন্দ্র করে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকে ব্যাপক অস্বস্তিতে শাসকদল।
অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) নির্দেশ অনুযায়ী জমির পাট্টা বিতরণ কর্মসূচি নিয়েও শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Infighting) প্রকাশ্যে এল। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং ভূমি কর্মাধ্যক্ষের অনুগামীদের মধ্যে বচসা এবং হাতাহাতিকে কেন্দ্র করে হুলস্থূল কাণ্ড দেখা দেয় মালদা (Malda) জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকে যার ফলে ব্যাপক অস্বস্তিতে শাসকদল।
কী ঘটল?
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির দাবি, তাঁকে না জানিয়ে রাতের অন্ধকারে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পাট্টা বিতরণ করার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এতেই শেষ নয়। যাঁদের জমি রয়েছে, বেছে বেছে তাঁদেরই পাট্টা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পঞ্চায়েত সভাপতির। গোটা ঘটনায় অভিযোগের তির পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষের দিকে। পাল্টা বন্যাত্রাণ দুর্নীতি নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কে খোঁচা দিয়েছেন ভূমি কর্মাধ্যক্ষ। যদিও পাট্টা বিতরণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ মানতে নারাজ সরকারি আধিকারিকরা। শাসকদলের একাংশ যখন অন্য অংশের দিকে দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে, তখন তৃণমূলকে এক হাত নিল বিজেপি। সব মিলিয়ে সরগরম এলাকার রাজনীতি। গত কাল অর্থাৎ বুধবার মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের তথ্যমিত্র কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী পাট্টা বিতরণ কর্মসূচি চলছিল। যাঁদের নিজস্ব জমি নেই, তাঁরাই দুয়ারে সরকারে আবেদনের মাধ্যমে সরকারি জমির পাট্টা পাবেন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুযায়ী চলছিল কর্মসূচি। সে হঠাৎই ব্লক চত্বরে এসে হট্টগোল শুরু করেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কোয়েল দাস। তাঁর অভিযোগ, এই পাট্টা বিতরণ কর্মসূচির কথা তাঁকে জানানো হয়নি। রাতের অন্ধকারে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পাট্টা বিতরণের তালিকা তৈরি করেছেন পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষ আদিত্য মিশ্র। যাঁরা ভূমিহীন তাঁরা পাট্টা পাচ্ছেন না। অথচ যাঁদের জমি রয়েছে, তাঁরা পাচ্ছেন। তাই তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অনির্বাণ বসু এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক ভিক্টর দাসের কাছে দাবি জানান এই কর্মসূচি বন্ধ করতে হবে। প্রকাশ্যে সরকারি আধিকারিকদের রীতিমতো ধমক দেন তিনি। তারপরেই ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক উত্তেজনা। আদিত্য মিশ্র এবং কোয়েল দাসের অনুগামীরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে আসতে হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশকে।যদিও সরকারি আধিকারিকদের দাবি সম্পূর্ন নিয়ম মেনে কর্মসূচি হয়েছে।কোনো দুর্নীতি হয়নি।অন্যদিকে ভূমি কর্মাধক্ষ্য আদিত্য মিশ্র পাল্টা বন্যা ত্রাণ নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন সভাপতি কোয়েল দাসকে।সমগ্র ঘটনা সামনে আসতেই কটাক্ষ বিজেপির।বিজেপির দাবি এক পক্ষ দুর্নীতির ভাগ পায়নি বলে ঝামেলা করছে।এই দলকে মানুষ ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলবে। তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন:উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জে এবার এক যুবকের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার
আরও পড়ুন:সতর্ক হোন, লিভারের ক্ষতি করতে পারে এই খাবারগুলি !