Kaliagunj: উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জে এবার এক যুবকের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার
Kaliagunj Update: কালিয়াগঞ্জে যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা।
সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) কালিয়াগঞ্জ (Kaliagunj)। এবার সেখানে উদ্ধার হল যুবকের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ (dead body recovered)। বছর তেত্রিশের যুবকের বাড়ি রাধিকাপুরের চাটগাঁ এলাকায়।
কালিয়াগঞ্জে উদ্ধার যুবকের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ
ফের উত্তেজনা কালিয়াগঞ্জকে ঘিরে। উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জ থেকে গুলিবিদ্ধ যুবকের দেহ উদ্ধার হল। মৃতের নাম মৃত্য়ুঞ্জয় বর্মন। মৃত যুবক বিজেপি কর্মী বলে দাবি করলেন রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী।
তাঁর অভিযোগ, গতকাল রাত আড়াইটে নাগাদ কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ ধরপাকড় শুরু করে। বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিষ্ণু বর্মনের ভাইপো মৃত্যুঞ্জয় প্রতিবাদ করায়, তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। বছর তেত্রিশের মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ি রাধিকাপুরের চাটগাঁ এলাকায়।
অন্যদিকে কালিয়াগঞ্জে যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা। 'পুলিশ নৃশংস ভাবে রাজবংশী যুবককে খুন করেছে। গতকাল মধ্যরাতে মমতার ট্রিগার হ্যাপি পুলিশ বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যর বাড়িতে হানা দেয়। কিন্তু বিষ্ণু বর্মনকে তাঁরা পায়নি। মৃত্যুঞ্জয় বর্মন নামে ৩৩ বছরের যুবককে নৃশংস ভাবে খুন করে পুলিশ। এটা অত্যাচার ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের অন্যতম নিদর্শন। রাজ্য জ্বলছে, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্রাট নিরোর মতো ভূমিকা পালন করছেন। গতকালই সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালিয়াগঞ্জের মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ তাঁর নির্দেশ পালন করেছে। এই নৃশংস হত্যার দায় তাঁকেই নিতে হবে', ট্যুইট শুভেন্দু অধিকারীর।
আরও পড়ুন: Sukanya Mondal: কেবল গরু পাচারই নয়, অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নাম জড়ায় নিয়োগ দুর্নীতিতেও
অন্যদিকে, কালিয়াগঞ্জে ১৬ বছরের কিশোরীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় আগেই জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সিবিআই তদন্ত চেয়ে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। এবার, সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন মৃতার বাবা। মামলা দায়েরের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার সকালে ওই নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকে অশান্ত হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জ। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টের উল্লেখ করে, নাবালিকার মৃত্যুর নেপথ্যে বিষক্রিয়ার কথা বলেন জেলার পুলিশ সুপার। কিন্তু পুলিশের দাবি মানতে চায়নি মৃতার পরিবার। কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে সোমবার হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। অনুমতি দেয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মৃতার পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়। ১ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের দাবিও জানান মামলাকারী। এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন মৃতার বাবা। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি।