Malda News: চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে লাইনে পড়ে মৃত্যু গৃহবধূর, মর্মান্তিক ঘটনা মালদা টাউন স্টেশনে
Tragic Death: চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে পড়ে মৃত্যু হল এক গৃহবধূর। শনিবার সকালে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মালদা টাউন স্টেশনের দু'নম্বর প্ল্যাটফর্মে। মৃতের নাম প্রান্তিকা পাল, বয়স ৫২ বছর।
করুণাময় সিংহ, মালদা: চলন্ত ট্রেনে (Running Train) উঠতে (boarding) গিয়ে পড়ে মৃত্যু হল এক গৃহবধূর (housewife)। শনিবার সকালে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মালদা টাউন স্টেশনের (malda town station) দু'নম্বর প্ল্যাটফর্মে। মৃতের নাম প্রান্তিকা পাল, বয়স ৫২ বছর। পুলিশ জানিয়েছে স্বামী ও এক ছেলে রয়েছে মৃতার। স্বামী শিশির পালের আসল বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর থানার একডাঙ্গা গ্রামে। কর্মসূত্রে মালদা শহরের রেল কলোনি এলাকার (rail colony) কোয়ার্টারে থাকতেন তাঁরা। বেশ কিছুদিন হল চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন শিশির। দম্পতির ছেলে বর্তমানে রেলের দফতরে কর্মরত।
কী ঘটেছিল?
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্গাপুজোর আগে বাড়ি ফেরার জন্য আজ সকালেই বেরিয়ে পড়েন শিশির ও প্রান্তিকা। ভোরবেলা পৌঁছন মালদা টাউন স্টেশনে। হাওড়া ইন্টারসিটি ধরার জন্য স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। ট্রেন যখন মালদা টাউন স্টেশনে ঢোকে, সেই সময়ই চলন্ত ট্রেনে উঠতে যান প্রান্তিকা। আর তাতেই বিপত্তি, দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। চলন্ত ট্রেনে উঠতে না পেরে ট্রেনের লাইনের ভিতরে পড়ে যান প্রৌঢ়া। দ্রুত পরিবারের সদস্য ও রেলকর্মীরা ওই মহিলাকে উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু তত ক্ষণে যা ঘটার ঘটে গিয়েছে। জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন প্রান্তিকাকে। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে প্রৌঢ়ার পরিবার-সহ গোটা গ্রামে। কথা বলার ভাষা হারিয়েছেন প্রান্তিকার পরিজনেরা।
আগেও একই ঘটনা...
এমন মর্মান্তিক রেলের রেকর্ডে অবশ্য নতুন নয়। গত জানুয়ারিতে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয় এক যাত্রীর। তবে তিনি চলন্ত ট্রেনে উঠতে যাননি, বরং ভিড়ে ঠাসা ট্রেন থেকে আচমকা পড়ে গিয়েই মারা যান। ঘটনাটি ঘটেছিল ডানকুনি ও বেলানগর স্টেশনের মাঝামাঝি হাজরাপাড়া ক্রসিংয়ে। সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার বাসিন্দা চন্দন প্রচণ্ড তাঁর স্ত্রী ও আত্মীয়দের সঙ্গে কলকাতায় আসছিলেন। আত্মীয়দের দাবি, ভিড়ের কারণে তিনি কোনওভাবে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যান। আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরপাড়া জেনারেল হাসপাতালে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। প্রশ্ন হল, নজরদারি এড়িয়ে কী ভাবে ঘটছে এমন ঘটনা? কোনও যাত্রী চলন্ত ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করছেন কী ভাবে? ভিড়ে ঠাসা হওয়ার উপক্রমই বা কেন? তা হলে কি প্রয়োজনের তুলনায় ট্রেনের সংখ্যা ও নজরদারি পরিকাঠামো যথেষ্ট নয়? আলোচনার কেন্দ্রে যাত্রীদের সচেতনতাও।
আরও পড়ুন:ভাসছে দিল্লি, যানজট সংলগ্ন এলাকায়