Mamata Banerjee: 'সবচেয়ে বড় শিব করব', শিলিগুড়িতে মহাকাল মন্দির তৈরির ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর; DM-কে জমি দেখার নির্দেশ
West Bengal Assembly Election 2026 : রাজনীতি এখন ধর্মময়। হিন্দু-মুসলমানের রাজনীতি এখন আর রাখঢাক রেখে হয় না, খুল্লমখুল্লা হয়। কী রাজ্য়ে, কী দেশে।

আশাবুল হোসেন, বিজেন্দ্র সিংহ, প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : বিধানসভা ভোটের মুখে দার্জিলিঙে দাঁড়িয়ে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার শিলিগুড়িতে মহাকাল মন্দির তৈরির ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এর জন্য দার্জিলিঙের জেলাশাসককে জমিও খোঁজার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য, দিঘায় জগন্নাথ সাড়া দেননি বলে শিলিগুড়িতে মহাকাল মন্দির করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
রাজনীতি এখন ধর্মময়। হিন্দু-মুসলমানের রাজনীতি এখন আর রাখঢাক রেখে হয় না, খুল্লমখুল্লা হয়। কী রাজ্য়ে, কী দেশে। ভোট এলেই আরও বেশি করে ধার্মিক হয়ে যান রাজনীতিবিদরা। কারণ, ধর্মের পথে হাঁটলে ঝুলিতে ভোট আসে, গত এক দশকে তা জোরালভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই নিয়ে নানা আলোচনা-তর্ক-বিতর্কের আবহেই, বিধানসভা ভোটের মুখে বড় ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। বৃহস্পতিবার দার্জিলিঙে মহাকাল মন্দিরে পুজো দিয়ে বেরিয়ে, শিলিগুড়িতে মহাকাল মন্দির তৈরির ঘোষণা করলেন মুখ্য়মন্ত্রী। তিনি বলেন, "আমি একটা জমি জেলাশাসককে দেখে রাখতে বলেছি শিলিগুড়ির পাশাপাশি ভাল জমি, যেখানে কনভেনশন সেন্টার হবে, তার পাশেই আমি একটা বড় মহাকাল মন্দির করব। যেটা সবচেয়ে বড় শিব করব।"
বাংলার বুকে রামনবমী-দোল-হনুমান জয়ন্তীর মধ্য়ে দিয়ে বিজেপি যখন নিজেদের হিন্দুদের রক্ষাকর্তা বলে তুলে ধরার মরিয়া চেষ্টা করছে। তখন পাল্টা মুখ্য়মন্ত্রীর মহাকাল মন্দির তৈরির ঘোষণাকে রাজনীতির আতসকাঁচে দেখছে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের পরে উনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা মূলত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিচ্ছেন না। তাঁরা বিজেপিকে ভোট দিচ্ছেন। তারপর থেকে তিনি বুদ্ধি পাকাচ্ছেন যে কীভাবে হিন্দু ভোট ভাগ করা যায়। তারজন্য তিনি জগন্নাথ মন্দির তৈরি করেছেন এর আগে। যদিও জগন্নাথ মন্দির নাম দিলেও, আদপে ওটা তৈরি হল জগন্নাথ কালচারাল সেন্টার। এবার কি তবে মহাকাল মন্দির তৈরি হবে, নাকি মহাকাল কালচারাল সেন্টার তৈরি হবে ?"
কার্ল মার্ক্স সেই কবে বলেছিলেন, ধর্ম আসলে আফিমের মতো। কিন্তু বর্তমান ভারতে সারসত্য় হল, ধর্মের নামে এখন ভোট হয়। কিন্তু, তারপরও এখনও যারা মনে করেন, ধর্ম আর রাজনীতিকে গোলানো উচিত নয়, তাঁরা অবশ্য় ভোটের আগে মুখ্য়মন্ত্রীর মহাকাল মন্দির তৈরির ঘোষণাকে অন্য় চোখেই দেখছেন। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, "একটা প্রতিযোগিতা, কে কত বেশি ধর্মের নাম করে মানুষকে ভাগ করতে পারে। ভাগ করে কে কত বেশি ভোট ব্যবস্থা করতে হবে। বিজেপি হিন্দু ধর্মের ভোট যদি পায়, তাহলে তৃণমূলকে মুসলমান ধর্মের ভোট পেতে হবে...এই গোছের মনোভাব। এখন দেখা যাচ্ছে, তাই করলেও তৃণমূল পারবে না। ফলে,তৃণমূলের এখন হিন্দু ধর্মের তাস খেলতে হচ্ছে।" ধর্ম নিয়ে প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতি ভাল না খারাপ, এ নিয়ে যতই মতভেদ থাকুক না কেন...ইভিএমে মন্দির-মসজিদের রাজনীতির এফেক্ট ভালই হয়, এটা বুঝতে পেরে, কেউই এখন এর থেকে পিছিয়ে থাকতে চান না।






















