Mamata Banerjee: 'কুম্ভের মতো অবস্থা যেন না হয়', দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের প্রস্তুতি বৈঠকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
Digha Jagannatha Temple: অক্ষয় তৃতীয়া থেকে এরাজ্য়ের সমুদ্রপাড়েই মিলবে জগন্নাথ দেবের দর্শন। ৩০ এপ্রিল দিঘায় উদ্বোধন হতে চলেছে পুরীর আদলে তৈরি জগন্নাথ মন্দিরের।

সুমন ঘড়াই, কলকাতা: অক্ষয় তৃতীয়ায় দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন (Jagannatha Temple)। ৩০ এপ্রিল দেবতার প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগের দিন আয়োজন করা হয়েছে মহাযজ্ঞের। ২ সপ্তাহ আগে নবান্নে প্রস্তুতি বৈঠক সারলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। মহাকুম্ভের মতো পরিস্থিতি যেন না হয় বলে সতর্ক করলেন প্রশাসনকে।
অক্ষয় তৃতীয়া থেকে এরাজ্য়ের সমুদ্রপাড়েই মিলবে জগন্নাথ দেবের দর্শন। ৩০ এপ্রিল দিঘায় উদ্বোধন হতে চলেছে পুরীর আদলে তৈরি জগন্নাথ মন্দিরের। দিঘায় নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর তার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে ইসকনের হাতে। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন মন্দিরের দ্বারোদঘাটনের আগের দিনমন্দির চত্বরে আয়োজন করা হবে মহাযজ্ঞের। যেখানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন, বেলুড় মঠ, ভারত সেবাশ্রমের মহারাজদের। রাজ্য সরকারের তরফে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে বিশিষ্ট শিল্পপতিদেরও। বুধবার নবান্ন সভাঘরে মুখ্যসচিব-সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসুর মতো মন্ত্রীরা।
বুধবার নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমার দীর্ঘদিনের একটা কল্পনা ছিল। যেহেতু সমুদ্রের ধারে পুরীতে জগন্নাথ দেবের মন্দির আমরা ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি। দিঘাতে এমনিতেই ট্যুরিসম স্পট আছে। এটা একটা নতুন কর্মক্ষেত্র, ধর্মক্ষেত্র এবং বিশেষ করে এই হিসাবে অনেক বাজার গড়ে উঠবে। অনেক মানুষ কর্মকাণ্ডে জড়িত হবেন। এটা পৃথিবীর মানচিত্রে নতুন একটা সংযোজন হবে। কুম্ভের মতো অবস্থা যেন না হয়। প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিন। কিছু মানুষ আছে যাঁদের লক্ষ্য হচ্ছে এই ধরনের অনুষ্ঠান ভেস্তে দেওয়া। আমার মাথাব্যথা এই ধরনের অনুষ্ঠান সুস্থভাবে করা।''
নবান্ন সূত্রে খবর, দিঘায় প্রায় ২২ একর জমির উপর তৈরি জগন্নাথ মন্দির করতে খরচ হয়েছে প্রায় আড়াইশো কোটি টাকা। ২০২২ সালের মে মাসে মন্দির তৈরির কাজ শুরু করে হিডকো। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মতোই, এখানেও ধ্বজা উত্তোলন হবে। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে দেবতার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষ্যে এখন বাঙালির প্রিয় সৈকতশহরে সাজো সাজো রব। উদ্বোধন অনুষ্ঠান যাতে সবাই সুষ্ঠুভাবে দেখতে পারেন সে ব্যাপারেও নবান্নের বৈঠক থেকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, "লক্ষ লক্ষ মানুষকে হাইপ করে ডেকে আনব। তারপর তাঁরা কোথায় থাকবে, কোথায় যাবে, তার সুনির্দিষ্ট বন্দোবস্ত করার জন্য আমরা প্রত্যেকটা ব্লকে ব্লকে LED টিভি লাগাচ্ছি, এলাকায়। যাতে সারা বাংলাজুড়ে এবং ইম্পর্টেন্ট প্লেসগুলোতে মানুষ দেখতে পায়।''






















