Mamata Banerjee : এগরায় গ্রিন ক্র্যাকার ক্লাস্টার তৈরির ঘোষণা মমতার, নিহতদের পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরি
মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দেন, 'আমি জানি দুঃখ কখনও শেষ হয় না।'
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, এগরা : বিস্ফোরণকাণ্ডের ১১ দিনের মাথায় এগরার খাদিকুলে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী ( Mamata Banerjee ) । বিস্ফোরণে নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৬ মে এগরার ( Egra ) খাদিকুলে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ১১ জনের মৃত্যু হয়। কথামতো নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন তিনি। শুধু তাই নয়, এগরায় নিহতদের পরিবারের কাছে ক্ষমাও চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী।
গ্রিন ক্র্যাকার ক্লাস্টার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ' আমি যাঁদের পরিবার চাকরি করতেন, এবং মারা গিয়েছেন, তাঁদের সবাইকে আমার সমবেদনা জানাচ্ছি এবং এই ঘটনা থেকে আমাদের চোখ খুলে গেছে। আমরা যেটা ঠিক করেছি যে, আগামী ২ মাসের মধ্যে আমার কাছে একটা রিপোর্ট আসবে, চিফ সেক্রেটারির নেতৃত্বে একটা কমিটি আমরা করেছি। ইললিগ্যাল বাজি কারখানায়, ফায়ার ক্র্যাকার্স করে অনেক গরিব মানুষ চাকরি করে। তাঁদের চাকরি যাতে নষ্ট না হয় আমি দেখব। তাঁদের জীবন নষ্ট যেন না হয়, তাই আমরা একটা পরিকল্পনা নিচ্ছি। '
এরপরই তিনি ঘোষণা করে দেন বেআইনি বাজি কারখানা রুখতে ক্লাস্টার তৈরি করা হবে। জনবসতি থেকে দূরে তৈরি হবে গ্রিন ক্র্যাকার ক্লাস্টার। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, ' গ্রিন ক্র্যাকার, যা মানুষের কাজে লাগে, অথচ জীবনে ক্ষতিকারক নয়, সেই রকম ধরনের আমরা ক্লাস্টার, যেখানে যেখানে বাজি কারখানা আছে, সেখান থেকে জনগণ সম্বলিত এলাকা, তার থেকে একটু দূরে আমরা করে দেব। '
আরও পড়ুন :
ভুল সময়ে জল পান করলে একাধিক রোগের ঝুঁকি, সঠিক ক্ষণ কখন ?
'আমি কোনও রাজনীতি করতে এখানে আসিনি'
এগরাকাণ্ড নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ শানাচ্ছেন বিরোধীরা। কয়েকদিন আগে এলাকায় ঘুরে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, 'আড়াই লক্ষ নয়, অ্যামাউন্ট বাড়াতে হবে। এমএলএ অফিস থেকে নেবেন না ক্ষতিপূরণ। আমরা ভানুর ভাই ছাড়া বাকিদের পাশে আছি'। এই প্রেক্ষাপটেই শনিবার এগরায় বিস্ফোরণে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নাম না করে বিরোধীদের আক্রমণ করে বলেন, অনেকে রাজনীতির জলঘোলা করেছেন। মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, 'একটা মানুষ যখন চলে যায়, তার পরিবারটাকে ফেলে রেখে যায়। তার পরিবারের তখন, যারা পড়ে থাকে, তারা দুর্দশায়, দুঃখে আক্রান্ত হয়। এটা নিয়ে অনেকে অনেক রাজনীতির জল ঘোলা করেছে। আমি কোনও রাজনীতি করতে এখানে আসিনি। আমি মানবিক সাহায্যের হাত বাড়াতে এসেছি। ' ঘোষণা করেন, নিহতদের পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে বলে। এরপর একে একে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেন অ্যাপয়েনমেন্ট লেটার। মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দেন, 'আমি জানি দুঃখ কখনও শেষ হয় না। কিন্তু দুঃখকে লড়াই করে জানতে হয়, এটা আপনার হাতেও ছিল না, আমার হাতেও ছিল না। '
এগরা থেকে শনিবার শালবনি যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। শালবনিতে অভিষেকে জনসংযোগ যাত্রায় যোগ দেওয়ার কথা মমতার।