Mamata Banerjee: 'সিবিআই এত স্মার্ট হলে কীভাবে ঘটল এধরনের ঘটনা?', লালন-মৃত্যুতে সরব মমতা
Bogtui Case: বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন রহস্যমৃত্যু নিয়ে সরব হয়েছেন মদন মিত্রও।
আশাবুল হোসেন, শিলং: মেঘালয়ের সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে সিবিআই হেফাজতে রহস্যমৃত্যু হয়েছে বগটুইকাণ্ডের অন্যতম মূল অভিযুক্ত লালন শেখের। সেই ঘটনায় মেঘালয় থেকেই সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কী বলেছেন মুখমন্ত্রী?
এদিন মেঘালয়ের শিলংয়ে মমতা বলেন, 'হেফাজতে লালনের মৃত্যু নিয়ে উত্তর দিতে হবে সিবিআইকে। সিবিআই এত স্মার্ট হলে কীভাবে ঘটল এধরনের ঘটনা? লালন শেখের স্ত্রী এফআইআর দায়ের করেছেন। আমরাও এই বিষয়টি নিয়ে সরব হব।'
মদনের তোপ:
বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন রহস্যমৃত্যুতে এবার শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারি দাবি করলেন মদন মিত্র। শুভেন্দুর ডিসেম্বর-তত্ত্বকে হাতিয়ার করে গ্রেফতারি দাবি মদনের। তিনি বলেন, 'শুভেন্দুই বলেছিলেন ১২ ডিসেম্বর অপারেশন হবে। সবার আগে শুভেন্দুকে দড়ি বেঁধে গ্রেফতার করা উচিত। এটা আত্মহত্যা না খুন, কে বলবে?'
থমথমে বগটুই:
বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের সিবিআই হেফাজতে মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই থমথমে বগটুই গ্রাম। অশান্তির আশঙ্কায় আগে থেকেই প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। বগটুইকাণ্ডে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন, তাঁদের বাড়ির সামনেও সক্রিয় পুলিশি প্রহরা রয়েছে। রামপুরহাট হাসপাতালে হবে লালনের দেহের ময়নাতদন্ত। ইতিমধ্যেই হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছে সিবিআই ও সিআরপিএফ-এর টিম। লালন শেখ গ্রেফতার হওয়ার আগেই তার বাড়ি আগেই সিল করে দিয়েছিল সিবিআই। গতকাল সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় বগটুুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ। সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়, লালন আত্মঘাতী হয়েছে। অন্যদিকে, সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে লালনকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ করেছে তার পরিবার। কিন্তু সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন কীভাবে মৃত্য়ু? উঠছে প্রশ্ন!
আগে কী হয়েছিল?
চলতি বছরে ২১ মার্চ রাতে খুন হন রামপুরহাট বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতে উপপ্রধান ভাদু শেখ। তার পর ওই গ্রামের একের পর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। অগ্নি সংযোগের ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় একাধিক জনের। ঘটনাস্থল থেকেই একাধিক জনের দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ওই ঘটনায় তীব্র শোরগোল পড়েছিল রাজ্য-রাজনীতিতে। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শাসক দলকে ক্রমাগত আক্রমণ করেছিল বিরোধীরা। পরে ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য করা হয় সরকারের তরফে। বগটুইকাণ্ডের পরদিন অর্থাৎ ২২ মার্চ পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআর দায়ের করে। পরে তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। ভাদু শেখ খুন এবং বগটুইয়ে অগ্নিকাণ্ড-দুটিরই তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বগটুইয়ের ঘটনা নিয়ে এখনও শাসক-বিরোধী তরজা চলে। বীরভূমের গ্রামে এমন ঘটনা প্রশাসনের গাফিলতির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন বিরোধীরা। রাজ্যের পুলিশ এই ঘটনায় তদন্ত করার সময়, তদন্তে গাফিলতির অভিযোগও তুলেছিলেন বিরোধীরা।
আরও পড়ুন: 'শুভেন্দুই বলেছিলেন ১২ ডিসেম্বর অপারেশন হবে', লালনের মৃত্যু নিয়ে সরব মদন