Mamata Banerjee: 'আমার ভোটের সঙ্গে আরেকটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রেখে দিচ্ছে', বিস্ফোরক দাবি মুখ্যমন্ত্রীর
ফের বিজেপি-কমিশন আঁতাঁতের অভিযোগে সরব মুখ্যমন্ত্রী। মমতার কথায়, 'আমরা বলেছি, একজনও বৈধ ভোটারকে তাড়ানো যাবে না।'

কলকাতা: মঙ্গলবার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বনগাঁর মতুয়াগড়ে জোড়া কর্মসূচি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের। প্রথমে বনগাঁ ত্রিকোণ পার্কে সমাবেশ, তারপর মিছিল করবেন তৃণমূল নেত্রী। তবে সূত্রের দাবি, মঙ্গলবার ঠাকুরনগরের মতুয়াবাড়িতে যাবেন না তিনি।
SIR নিয়ে ফের বিজেপিকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর, বলেন, 'ভোট আসছে বলে ২ মাসের মধ্যে গায়ের জোরে SIR করছেন? ৩ বছরে এসআইআর করুন, ঘটি বাটি বিক্রি করে পাশে থাকব। খসড়া তালিকা বেরোলে দেখবেন, কি ভয়ঙ্কর অবস্থা। আমার ভোটের সঙ্গে আরেকটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রেখে দিচ্ছে'।
ভোটার লিস্টে কারচুপির অভিযোগে কমিশনকে আক্রমণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী বলেন, 'এটা বিজেপির নতুন কৌশল, আপনারা বলেছিলেন ১৫ হাজার অনুপ্রবেশকারী, কিন্তু সীমান্ত সামলায় কে? সীমান্ত সামলায় কেন্দ্র, বিমানবন্দর দেখে CISF, ট্রেন দেখে রেল, পাসপোর্ট কেন্দ্র। শুল্ক দফতরও দেখে কেন্দ্রীয় সরকার, নেপালের বর্ডার দেখে কে? তাহলে আমরা কী করে এই কাজটা করলাম?বাংলাকে জব্দ করতে হবে, গুজরাতে ফেলে দিতে হবে, এটাই চান। বাংলা দখল করতে গিয়ে আগামী ভোটে গুজরাতেও বিজেপি হারবে। তৃণমূলের কেউ কিছু না করলেও জেলে, আর বিজেপি করলে...'। যতই বাঁচানোর চেষ্টা করুন, আমাদের কাছেও কিন্তু রেকর্ড আছে। ভোট এলেই তৃণমূলকে ৪০০ আয়কর নোটিস, আর আপনারা?'
ফের বিজেপি-কমিশন আঁতাঁতের অভিযোগে সরব মুখ্যমন্ত্রী। মমতার কথায়, 'আমরা বলেছি, একজনও বৈধ ভোটারকে তাড়ানো যাবে না। বিজেপির অফিস থেকে লিস্ট ঠিক করে দেবে? কমিশনের কাজ নিরপেক্ষ থাকা, বিজেপির কমিশন হওয়া নয়। আমাকেও সময় দিয়ে আধার কার্ড করতে হয়েছে, এখন বলছে No SIR। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার No SIR, আর বিজেপি করলে Yes SIR'।
বনগাঁর সভা থেকে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর কথায়, 'আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, বৈধ ভোটার বাদ দেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই। খসড়া লিস্ট বেরোক, আমরা দেখে নেব, তারপরে পাড়ায় পাড়ায় সাহায্য। যা দরকার, আমাদের পাড়া আমাদের সমাধানের মতোই পাশে দাঁড়াব'।
নাম না করে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে আক্রমণে মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশনের আরেকটা ছোট স্যর জুটেছে। বিএলওদের ফোন করে বলছে জেলে ঢুকিয়ে দেব, চাকরি খেয়ে নেব। আর ৫ মাস পরে অবসর নেবে, বলছে চাকরি খেয়ে নেব। ২-৩ মাস চাকরি খাবে, আমরা কেউ মরে যায়নি, আমি এই মাটি চিনি'।






















