Mamata Banerjee : 'ট্রেজারিতে টাকা আছে তো? রাতে ঘুমোতে পারি না, চিন্তা হয়,' রাজ্যের কোষাগার নিয়ে উদ্বেগ মুখ্যমন্ত্রীর
TMC : রাজ্যের আর্থিক হালের সঙ্গীন অবস্থা নিয়ে পূর্বতন বাম সরকারকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা : রাজ্যের আর্থিক হাল নিয়ে তৃণমূল সরকারকে মাঝে-মধ্যেই নিশানা শানায় বিরোধীরা। একাধিক জনমুখী প্রকল্প থেকে অনুদান, রাজ্য সরকারের একাধিক সিদ্ধান্ত ঘিরে চড়া সুরেই উড়ে আসে আক্রমণ। অর্থের ভাঁড়ারের হাল যে খুব একটা ভাল নয়, সেটা মাঝে-মধ্যেই প্রকাশ পায় কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রকল্প-বকেয়া ঘিরে টানাপোড়েন নিয়েও। এবার সরাসরি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের মুখে উঠে এল রাজ্যের ধুঁকতে থাকা অর্থনৈতিক হালের কথা। অবস্থা যে বেশ সঙ্গীন সেটা বুঝিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, 'রাতে ঘুমোতে পারি না, চিন্তা হয়'।
আর্থিক হাল নিয়ে চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী
বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গনে শিক্ষারত্ন সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) বলেছেন, 'অনেক লাঞ্ছনা, বঞ্চনা নিয়ে কাজ করছি। সরকারটা চালাতে প্রায় নিজেকেই নিজেকে গোঁতাতে হয়। রাতে ঘুমোতে পারি না। চিন্তা হয়, একশো দিনের কাজে টাকাটা ঠিকমতো দিতে পারব তো? ট্রেজারিতে টাকা আছে তো?'
যার পরই পূর্বতন বাম সরকারকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'প্রথমেই তো অনেক টাকা ধারের বোঝা নিয়ে শুরু করতে হয়েছিল। অন্য রাজ্যের সঙ্গে তুলনা করবেন না। অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা নতুন রাজ্য। তাদের ওখানে কোনও টাকার দেনা ছিল না। দিল্লি একটা মিউনিসিপ্যালিটির মতো রাজ্য। ওদের রেভিনিউ আর্নিং অনেক বেশি। পশ্চিমবঙ্গ আয়তনে ইউরোপের প্রায় চারটে দেশের সমান। প্রায় ১১ কোটি লোকের বসবাস।'
বামেদের আক্রমণ
আগের বাম সরকারকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তখনকার শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, এদের নম্বর পারমিট করছে না। তাও আমি বলেছিলাম, ব্যবস্থা করে দিতে। আমাদের আমলে কাগজ আছে, তাই দুর্নীতি ধরা পড়ে। বামেদের আমলে কোনও কাগজ নেই, আমরা খুঁজে পাইনি। ন্যায়বিচার যাঁরা পাননি, তাঁরা আমাদের আমলেই তা পাবেন। চাকরি দিতে চাই, কেউ কেউ পিআইএল করে জীবনটাই পিআইএল করে দিচ্ছে’।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমাদের আমলে কাগজ আছে, তাই দুর্নীতি ধরা পড়ে। তোমাদের আমলে কোনও কাগজ নেই, আমরা খুঁজে পাইনি।’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কাজ করতে করতে মানুষ একটা দুটো ভুল করতেই পারে, ওই যে মধ্যপ্রদেশে ব্যাপম হল আপনারা দেখেছেন তো। এখানকার এডুকেশন মিনিস্টারকে গ্রেফতার করা হয়েছে আজও? ৫৪ জন সুইসাইড করেছিল। সরকারে থাকতে গেলে, অনেক জায়গা হাজারও লক্ষ জায়গা, নিচুতলায় কেউ একটা করলে, দোষটা আসে ওপরতলায়। পরে নিচুতলাকে ধরতে ধরতে সে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন- '৮৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হতে চলেছে’ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের