Mamata Banerjee : 'আমি নিশ্চিত, এই লড়াইয়ে মানুষ আমাদের পাশেই থাকবেন' স্বাধীনতা দিবসেও ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট মুখ্যমন্ত্রীর
Mamata Banerjee On Independence Day : মুখ্যমন্ত্রী তাঁর স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছাবার্তায় বাংলার বিপ্লবী ও মনীষীদের নাম উল্লেখ করে, দিলেন বাঙালি অস্মিতা রক্ষা করার ডাক।

কলকাতা : স্বাধীনতা দিবসে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট মুখ্যমন্ত্রীর। ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন ঘিরে তোলপাড়ের আবহে ভিন রাজ্যে যখন বাঙালি হেনস্থার অভিযোগ উঠছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছাবার্তায় বাংলার বিপ্লবী ও মনীষীদের নাম উল্লেখ করে, দিলেন বাঙালি অস্মিতা রক্ষা করার ডাক।
স্বাধীনতা আন্দোলনে অবিভক্ত বাংলার অবদান স্মরণ করালেন মুখ্যমন্ত্রী। 'আজকের এই দিনে আমি এই মাটিকেও প্রণাম জানাই যে মাটিতে জন্ম হয়েছিল দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ক্ষুদিরাম বসু, প্রফুল্ল চাকী, কানাইলাল দত্ত, বিপিনচন্দ্র পাল, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, মাতঙ্গিনী হাজরা, মাস্টারদা সূর্য সেন, বিনয়-বাদল-দীনেশ, বাঘা যতীন – এর এর মতো সোনার ছেলে-মেয়ের। এই বাংলাই সেদিন বিদেশী শক্তির বিরুদ্ধে, অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছিল। লড়াই আমাদের রক্তে। আজও আমরা অন্যায় দেখলে গর্জে উঠি।'
মুখ্যমন্ত্রী তাঁর স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তায় শ্রদ্ধা জানান, বাংলা নবজাগরণের অগ্রদূত রাজা রামমোহন রায়, পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস, স্বামী বিবেকানন্দ, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো মণিষীদের। মনে করান তাঁদের অবদান। মুখ্যমন্ত্রী স্মরণ করিয়েছেন, যে 'বন্দে মাতরম' ধ্বনি সারা ভারতের শিরায় শিরায় দেশপ্রেমের স্রোত বইয়েছিল, যে 'বন্দে মাতরম' এখন ভারতের জাতীয় গান, তা এই বাংলারই সাহিত্যিক বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা। তিনি মনে করিয়েছেন রবীন্দ্রনাথের, এই 'চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, উচ্চ যেথা শির'। লিখেছেন, 'প্রণাম জানাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে যিনি আমাদের শিখিয়েছেন 'চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, উচ্চ যেথা শির', যিনি শুনিয়েছেন 'বাংলার মাটি, বাংলার জল' যা আমাদের স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেছে, যিনি লিখেছেন 'জনগণমন অধিনায়ক', যা আজ এই স্বাধীন দেশের জাতীয় সঙ্গীত।'
ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ''আগামীদিনেও, এই পথিকৃৎদের দেখানো পথে প্রত্যেক দেশবাসীর সম্মান রক্ষা করার জন্য আমাদের লড়াই জারি থাকবে। যে সোনার দেশের স্বপ্ন দেখে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা জীবন-মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য করেছিলেন, সেই দেশ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। আমি নিশ্চিত, এই লড়াইয়ে মানুষ আমাদের পাশেই থাকবেন।''
এ বিষয়ে সন্দেহ নেই বাংলায় আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বড় ইস্যু হতে চলেছে বাঙালি অস্মিতা। ভিন রাজ্যে বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থার প্রতিবাদে একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই ভাষা আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভিনরাজ্যে, বিশেষত বিজেপি শাসিত রাজ্যে 'বাংলা ও বাঙালির অপমানের' বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে এসেছে, ভিন রাজ্যে কাজ করা বাঙালি শ্রমিকদের উপর নির্যাতনের অভিযোগগুলি। তিনি তাঁদের রাজ্যে ফিরে আসারও ডাক দিয়েছেন। এই আবহেই এবার স্বাধীনতা দিবসের পোস্টে অন্যায় দেখলে গর্জে ওঠার ডাক।





















