Mamata Banerjee: দেশই যদি বিক্রি হয়ে যায়, দশ বাঁচবে কী করে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এ দিন এনআরসি এনপিআরের প্রসঙ্গে টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এরা মানুষকে অধিকার দেয় না। এনআরসি, এনপিআরের নামে মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়।
কলকাতা: 'শ্রমিকরা রেল বিক্রি করে দিচ্ছে, শেল বিক্রি করে দিচ্ছে, কোল বিক্রি করে দিচ্ছে। এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি করে দিচ্ছে। সব বিক্রি করে দিচ্ছে। দেশই যদি বিক্রি হয়ে যায় তাহলে দশ বাঁচবে কী করে।' নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম উদ্বাস্তুদের নিঃশর্ত জমির দলিল প্রদান কর্মসূচিতে এসে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতায় আরও একবার সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার তিনি আরও বলেন, 'দশ মানে জনগণ। দেশই যদি থাকে দেশের মানুষ বাঁচবে কী করে'। এ দিন এনআরসি এনপিআরের প্রসঙ্গে টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এরা মানুষকে অধিকার দেয় না। এনআরসি, এনপিআরের নামে মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়। আমরা কাড়ি না, আমরা মনে করি আমরা সবাই নাগরিক। এই অধিকার সংবিধান দিয়েছে। এ টার জন্য অনেক লড়াই হয়েছে।'
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ভোটের জন্য ভোট পাখি কোয়েল দোয়েল নিয়ে সব চলে আসছে। ভোট চলে গেলে উজালা, নোটবন্দি সব হাওয়া। কত লোক চাকরি না পেয়ে আত্মহত্যা করছে। কৃষকরাও ন্যাহ্য দাম পায় না। এই দেশের পরিস্থিতি।'
উল্লেখ্য, প্রাথমিকে (Primary Section) ৫০ শতাংশ হাজিরা নিয়ে স্কুল চালুর (West Bengal School Reopen) বিষয় ভাবনায় আছে। জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, 'স্কুলগুলি চালু হয়েছে। পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণি পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয় (Paray Sikkhalay) চলছে। একেবারে ছোটদের ক্ষেত্রে আর কিছু দিন অপেক্ষা করে কোভিড(Covid19) যদি সমস্যার না হয় তাহলে ৫০ শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে ক্লাস করা যায় কি না সেটা স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ভাগাভাগি করে ক্লাস করা যায়। সোমবার যারা এল, তারা মঙ্গলবার এল না। তাহলে অন্তত প্রাথমিক স্তরের ক্লাসও হবে।‘
করোনা কাঁটায় ২ বছর ধরে স্কুল বন্ধ। চূড়ান্ত এক অনিশ্চয়তা। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা নেই। একঘেঁয়ে অনলাইন ক্লাস। আর কতদিন? বারবার এই প্রশ্নই তুলছে পড়ুয়া থেকে অভিভাবকরা। ইতিমধ্যেই সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত শুরু হয়েছে পাড়ায় শিক্ষালয়। এক সপ্তাহ আগে অষ্টম থেকে দ্বাদশের পড়ুয়াদের স্কুলে (School) ক্লাস শুরু হয়েছে রাজ্যে (West Bengal)। তবে এখনও খোলেনি প্রাথমিক স্তরের স্কুল। এবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কবে চালু হবে কচিকাঁচাদের স্কুল? এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন কোভিড পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ৫০ শতাংশ হাজিরা নিয়ে ছোটদের স্কুল চালুর ভাবনায় আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।