Mamata Banerjee: ফেল করে বলছে, পাশ করিয়ে দিতে হবে! উচ্চমাধ্যমিক বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খুললেন মমতা
HS Results Row: বৃহস্পতিবার দক্ষিণেশ্বরে পুস্তক উদ্বোধনের পাশাপাশি লাইট অ্যান্ড সাউন্ড অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয় মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে। সেখানেই পড়ুয়াদের বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খোলেন তিনি।
কলকাতা: উচ্চ মাধ্যমিকের (HS REsult 2022) ফল নিয়ে অসন্তোষের আঁচ টের পাওয়া যাচ্ছে ভালই। পাশ কারনোর দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছেন অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা। অবরোধ, ভাঙচুরের ঘটনাও সামনে এসেছে ইতিমধ্যেই। তা নিয়ে এ বার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর মতে, এতে পড়ুয়াদের কোনও দোষ নেই। বরং তাঁদের সঠিক পথ দেখানোর দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরাই এর জন্য দায়ী।
পাশ-ফেল বিতর্কে মুখ খুললেন মমতা
বৃহস্পতিবার দক্ষিণেশ্বরে পুস্তক উদ্বোধনের পাশাপাশি লাইট অ্যান্ড সাউন্ড অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয় মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে। সেখানেই পড়ুয়াদের বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। মমতা বলেন, “বলছে, ‘আমি কেন ফেল করেছি, আমাকে উঠিয়ে দিতে হবে।’ আগে কখনও এসব শুনিনি। আমাদের সময় ভাবতেই পারতাম না। এটা ওদের দোষ নয়। যাঁরা গাইড করছেন, তাঁদের দোষ। গোটা বিশ্বে ঘুরে বেড়াতে হবে না, হাতের কাছে রবীন্দ্রনাথ, রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, নজরুল, রাসমণি, বর্ণ পরিচয় রয়েছে।” একটু পড়ে দেখলেই মাথা থেকে আবর্জনা দূর হবে বলে মত মমতার।
মমতা আরও বলেন, “ছোটবেলায় বাবা-মা রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, সারদা, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল পড়ে শোনাতেন। মস্তিষ্ককে আবর্জনার স্তূপ করতে দেননি। আমি খুবই ক্ষুদ্র একজন মানুষ। আমার ক্ষমতাও ক্ষুদ্র। ভিআইপি নই আমি, আমি এলআইপি, লেস ইম্পর্ট্যান্ট পার্সন। বাবা-মা তেমনই শিখিয়েছেন। আর একটা জিনিস শিখেছি, সেটা হল, জীবন খুব ছোট। অন্যায় করবে না। বাবা-মায়ের শেখানো সব কথাই মনে রাখতে পেরেছি। শুধু অপ্রিয় সত্য না বলার অভ্যাসটাই রপ্ত করতে পারিনি। এখনও ফটফট করে বলে ফেলি। এ ছাড়া বাকি সব কিছু মেনেছি।”
পরীক্ষায় ফেল করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে শোনা যায় পড়ুয়াদের
এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল বেরনোর পর থেকেই জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ দেখা দেয়। করোনায় আগের বার যেখানে পরীক্ষা না দিয়েই সকলকে পাশ করিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এ বারে পরীক্ষা ভাল হওয়া সত্ত্বেও কেন ফেল করানো হল, প্রশ্ন তোলেন পড়ুয়ারা। শুধু তাই নয়, চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা নেই বলে মমতাই ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁদের ফেল করিয়ে দিচ্ছেন বলেও কোনও কোনও পরীক্ষার্থীকে মন্তব্য করতে শোনা যায়, যা একরকম ‘ধৃষ্টতা’ বলেই মনে হয়েছিল অনেকের। সেই আবহে পাশ-ফেল বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন মমতা।