Nabanna Meeting on Hawker Eviction: হকার উচ্ছেদ নিয়ে কাল নবান্নে বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী
Hawker Eviction: ফুটপাতজুড়ে হকারদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সোমবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা : কলকাতা থেকে সল্টলেক-ফুটপাথ দখল করে হকার-রাজ । দখলদার হঠাতে অভিযানের মধ্যেই কাল নবান্নে বৈঠক ডাকা হল।হকার উচ্ছেদ নিয়ে কাল নবান্নে বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাল নবান্নে জেলা শাসক-পুলিশ সুপার, সচিবদের সঙ্গে বৈঠক।
ফুটপাতজুড়ে হকারদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সোমবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতা ও সল্টলেক জুড়ে শুরু হয়ে যায় হকার উচ্ছেদ। গড়িয়াহাট থেকে নিউ মার্কেট, সল্টলেক থেকে রাজারহাট, কোথাও সরে যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়, তো কোথায় আবার একেবারে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয় দোকান।
বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে বুলডোজার চালানো নিয়ে একসময়ে সরব ছিল তৃণমূল। এবার মুখ্য়মন্ত্রীর কড়া বার্তার পর দিন এরাজ্য়ে বুলডোজার নামায়, তা নিয়ে সুর চড়াতে দেরি করেনি বিজেপি। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, "প্রথম কথা গরিব মানুষদের জিনিসপত্রের উপর বুলডোজার চালানোর আগে, যে নেতারা ওঁদের বসিয়ে সম্পত্তি কামিয়েছেন, অর্থ বানিয়েছেন, তাঁদের উপরে বুলডোজার চালানো দরকার। এই রাজ্যের সরকার এমন একটা ব্যবস্থা তৈরি করেছে, যেখানে মানুষ ভাবছে যে অর্থ দিয়ে চাকরিও পাওয়া যায়, অর্থ দিয়ে অবৈধভাবে দখলদারিও করা যায়, বিল্ডিংও তৈরি করা যায়।" পাল্টা জবাব দিতে ছাড়েনি তৃণমূলও।
শনিবার যেভাবে রণংদেহী রূপে মুখ্য়মন্ত্রীকে দেখা যায়, যেভাবে জন প্রতিনিধিদের থেকে শুরু করে প্রশাসনের একাংশকে নিশানা করেছেন তিনি, তাতে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, হঠাৎ এভাবে ক্ষোভ উগরে দিলেন কেন মুখ্যমন্ত্রী ?
বিরোধীদের দাবি, লোকসভা ভোটে সার্বিকভাবে তৃণমূল ভাল ফল করলেও, রাজ্য়ের পুর-এলাকাগুলির ফল তাঁকে চিন্তায় রেখেছে। লোকসভার পুরসভাভিত্তিক ফল বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, জেলার পুর-এলাকাগুলির অধিকাংশেই বিজেপি তৃণমূলের থেকে এগিয়ে রয়েছে। রাজ্যের ১২১টি পুরসভার মধ্য়ে ৭৪টিতেই ওয়ার্ড ভিত্তিক ফলাফলের নিরিখে ১ নম্বরে রয়েছে বিজেপি। তৃণমূল ৪১টিতে, কংগ্রেস ৩টিতে প্রথম স্থানে এবং ৩টি পুরসভা টাই হয়ে রয়েছে। এই কারণেই কি পুর এলাকার বাসিন্দাদের মন জয় করতে তৎপর হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ? তাঁর নির্দেশে ফুটপাত মুক্ত করতে দ্রুত সক্রিয় হল প্রশাসন ?
পাশাপাশি বিরোধীদের প্রশ্ন, এই জবরদখল তো রাতারাতি গজিয়ে ওঠেনি ? এতদিন প্রশাসন কী করছিল ? এখন প্রশ্ন হল, মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়ে যেভাবে প্রশাসনকে সক্রিয় হতে দেখা গেল, আগামীদিনেও এই ভূমিকায় তাদেরকে দেখতে পাওয়া যাবে তো ?