Mamata Banerjee: নিজের পছন্দেই বিয়ে করেছেন সকলে, বাড়িতে সম্প্রীতির পরিবেশ, আদ্যাপীঠে বললেন মমতা
Adyapeath Mandir: সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে আদ্যাপীঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা: কোনও পুজো, কোনও উৎসবই বাদ দেন না। ধর্মীয় সম্প্রীতির পরিবেশ বাড়িতেই রয়েছে বলে জানালেন বাংলরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জানালেন, বিবাহ সূত্রে তাঁদের বাড়িতে সব ধর্মের, সব জাতের মানুষ রয়েছে। নিজের পছন্দ অনুযায়ীই জীবনসঙ্গী বেছে নেন সকলে। এক্ষেত্রে সকলের সমান স্বাধীনতা রয়েছে। সেই সূত্রে সব উৎসবই পালন করেন তাঁরা (Adyapeath Mandir)।
সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে আদ্যাপীঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আগমন ঘিরে সকাল থেকেই সাজ সাজ রব ছিল আদ্যাপীঠ মন্দিরে। সেই মতো মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ মন্দিরে পৌঁছন মমতা। সেখানে মায়ের আরাধনায় অংশ নেন তিনি। আরতি করেন নিজের হাতে। আদ্যাপীঠে মমতার সঙ্গে রয়েছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রও। রয়েছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
তার পর আদ্যাপীঠে একটি অনুষ্ঠানেও অংশ নেন মমতা। সেখানেই বাড়ির কথা বলেন তিনি। এ দিন মমতা বলেন, "আমাদের বাড়িতে নানা পুজো লেগেই থাকে। আমি থাকি একা। কিন্তু বড় পরিবার আমাদের। রাখিতে, ভাইফোঁটায়, কালীপুজোর ৪০ বছর হল। সবাই মিলিত হই। দুর্গাপুজোয় একসঙ্গে থাকি। নানা উৎসব হয় আমাদের, সে মুসলিম, হিন্দু, শিখ, ইহুদি যাই হোক।"
মমতা আরও বলেন, "আমাদের পরিবারের আরও একটি পরিচয় আছে, যেটা অনেকেই জানেন না। এটা একটু অন্যরকম অনুষ্ঠান বলে বলছি। আমাদের ভাইবোনেদের ছেলেমেয়েরা বা ভাইবোনেরা, যাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন, সব জাত, সব সম্প্রদায়ের মানুষ আমাদের পরিবারে রয়েছেন। বিবাহসূত্রে এসেছেন। ফলে অনেক ধর্ম, অনেক জাতির সঙ্গে মিলিত একটা সম্প্রীতি গড়ে উঠেছে পরিবারের মধ্যেই। তাদের উৎসব আমাদের উৎসব হয়ে গিয়েছে। আমরা কাউকে দেখে দিইনি। সকলের স্বাধীনতা রয়েছে। নিজেদের ঠিক করতে বলেছিলাম। আমরা নিমন্ত্রণ খাই, বরণ করি। বাকি সবাই স্বাধীন, নিজেদের মতো করে চলে।"
এ দিন আদ্যাপীঠে নিজের জীবনের কিছু অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন মমতা। জানান, তিনি যখন রেলমন্ত্রী, আদ্যাপীঠে পুজো দিতে যান তাঁর মা এবং বোন। তাঁদের হাত দিয়ে সুতির শাড়ি পাঠিয়েছিলেন তিনি প্রতিমাকে পরানোর জন্য। দামি বেনারসি শাড়ি পরানো হয় বলে, প্রথমে সেই শাড়ি পুজোয় দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সন্ধে গড়ালেও ভাল শাড়ি আসেনি বলে পরে জানানো হয় মন্দিরের তরফে। শেষ পর্যন্ত তাঁর পাঠানো কম দামের, সুতির শাড়িই পরানো হয় প্রতিমাকে। সেই কথা মনে পড়লে আজও গায়ে কাঁটা দেয় বলে জানান মমতা।