SSKM Hospital Fire : SSKM এ আগুনে চরম ক্ষতি সিটি স্ক্যান বিভাগে, বিপর্যস্ত হতে পারে আর কোন কোন পরিষেবা?
অগ্নিকাণ্ডে রোগী, কর্মী বা স্বাস্থ্যকর্মীর কোনও ক্ষতি হয়নি। রোগীদের মেন ব্লকের ম্যাকেঞ্জি ওয়ার্ডে ও ট্রমা কেয়ারে সরানো হয়েছে। দোতলার সিটি স্ক্যান বিভাগ সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : ৬ বছর পরে এসএসকেএমে ফিরল আগুন আতঙ্ক ( Fire Panic ) । গল গল করে বেরোচ্ছে ধোঁয়া। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এমার্জেন্সির বিল্ডিং-এর পিছনের দিক। জানালার কাচ ভেঙে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন দমকলকর্মীরা। জরুরি বিভাগের সামনে উদ্বিগ্ন রোগীর আত্মীয়-পরিজনদের ভিড়। ৬ বছর পর আগুন-আতঙ্ক ফিরল এসএসকেএমে! বৃহস্পতিবার রাত তখন ১০টা।
আগুন লাগে এসএসকেএমের এমার্জেন্সি বিল্ডিং-এর দোতলায় সিটি স্ক্যান বিভাগে।
সিটি স্ক্যান বিভাগ সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত
এসএসকেএম-এর আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে। তবে শুক্রবার সকালেও দমকলের ৩টি ইঞ্জিন রয়েছে ঘটনাস্থলে। দমকল সূত্রে খবর, দোতলার সিটি স্ক্যান বিভাগ সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার এসএসকেএমের ইমার্জেন্সি বিল্ডিং-এর দোতলার সিটি স্ক্যান বিভাগে আগুন লাগে! পাশের ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে সরানো হয় রোগীদের। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আগুন লাগার মুহূর্তে একটি শব্দ শোনা যায়। তার পরই ছড়িয়ে পড়ে ধোঁয়া।বাইরে বেরিয়ে আসেন সেখানে থাকা হাসপাতালের কর্মীরা।
ব্যাহত হতে পারে কোন কোন পরিষেবা?
দমকলের ১০টি ইঞ্জিনের কয়েক ঘণ্টার চেষ্টার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই পরিস্থিতিতে সেন্ট্রাল ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও রিপোর্ট দেওয়ার পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে। ব্যাহত হতে পারে USG, সিটি স্ক্যান ডিজিটাল এক্স রে-র মতো পরিষেবা। এমার্জেন্সিতে ভর্তি হওয়ার জন্য টিকিট কাটার যে ব্যবস্থা আছে, তাতেও বিঘ্ন হতে পারে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ চালু করা হয় বিদ্যুত্সংযোগ। শুরু হয় জরুরি বিভাগের কাজ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডে রোগী, কর্মী বা স্বাস্থ্যকর্মীর কোনও ক্ষতি হয়নি। দ্বিতীয় তলায় নিউ ক্যাজুয়্যালটি ব্লকে থাকা রোগীদের মেন ব্লকের ম্যাকেঞ্জি ওয়ার্ডে ও ট্রমা কেয়ারে সরানো হয়েছে।
তীব্র আতঙ্ক
শুক্রবার তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে। জরুরি বিভাগের সামনে ভিড় করেন উদ্বিগ্ন রোগীর আত্মীয়-পরিজনরা। খবর ছুটে আসে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। বন্ধ করে দেওয়া হয় পুরো বিল্ডিংয়ের বিদ্যুত্সংযোগ। বন্ধ হয়ে যায় জরুরি বিভাগের কাজ। খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে আসেন মুখ্যসচিব। আসেন সিপি বিনীত গোয়েল, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র।
আরও পড়ুন :
জেলায় জেলায় শীতের কাঁপুনি, সারা রাজ্যে কোথায় তাপমাত্রা কত নামল? কলকাতায় কেমন ঠান্ডা?
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )