Kolkata Fire: শহরে ৬৫০-র বেশি কারখানা-গুদামঘর চলছে বেআইনিভাবে! ফায়ার সেফটি অডিটে মিলল তথ্য
Kolkata News: জানা গিয়েছে, বেআইনি কারখানা-গুদামঘরের বড় অংশই তপসিয়া, ট্যাংরা, তিলজলায়। কারখানা-গুদামঘরগুলির নেই পর্যাপ্ত অনুমতিপত্র। বেআইনি কারখানা-গুদামঘরগুলিকে নোটিস ধরানোর সিদ্ধান্ত দমকলের
কলকাতা: শহরে ৬৫০-র বেশি কারখানা-গুদামঘর চলছে বেআইনিভাবে। ফায়ার সেফটি অডিট নিয়ে সার্ভের সময় মিলল ভয়ঙ্কর তথ্য। মার্চ মাসে ট্যাংরায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের (Fire) ঘটনা ঘটে। শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ফায়ার সেফটি অডিটের (Fire Safety Audit) নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)।
কারখানা-গুদামঘর চলছে বেআইনিভাবে: অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়, শহরে এমন কারখানা রয়েছে সাড়ে ছশোর বেশি। কলকাতা পুলিশ ও দমকল বিভাগের ফায়ার সেফটি অডিট রিপোর্ট দেখে চক্ষু চড়কগাছ প্রশাসনের। চলতি বছর ১২মার্চ ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ট্যাংরার মেহের আলি লেনের বিশাল গুদাম। ঘিঞ্জি এলাকার মধ্যে আগুন নেভাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় দমকল কর্মীদের। অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়েও বিস্তর অভিযোগ ওঠে। তারপরই ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকার কারখানা-গোডাউনগুলোতে ফায়ার সেফটি অডিট করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ৯মাস পর সেই অডিট রিপোর্টে উঠে এল ভয়ঙ্কর তথ্য।
সূত্রের খবর, রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, নিয়ম না মেনে, বিনা অনুমতিতে, বৈধ কাগজ ছাড়া শহরের ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকার ৫৯৯টি কারখানা ও গোডাউনে কাজ চলছে। কলকাতা পুলিশের সমীক্ষায় সেই সংখ্যাটা সাড়ে ৬০০-র বেশি। তার মধ্যে ৪৯০টি কারখানায় যে কোনও সময় আগুন লাগার মতো পরিস্থিতি রয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেয়েই শুক্রবার বৈঠকে বসে কলকাতা পুরসভা, কলকাতা পুলিশ, সিইএসসি এবং দমকল বিভাগ। কলকাতার মেয়রের ফিরহাদ হাকিম বলেন, "ট্যাংরা ,তিলজলা কোথায় কোথায় আগুন লাগছে সেটা নিয়ে আমরা একটা সার্ভে করে ফেলেছি। কোনগুলো অগ্নিসংযোগের আদর্শ জায়গা সেগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে এই চারটি এজেন্সির টিম মিলে। সেখানে ৪৯০ টি এমন জায়গা কে চিহ্নিত করা হয়েছে।''
গত সোমবার ট্যাংরায় বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় প্লাস্টিক ও রবারের ২টি কারখানা। দমকল সূত্রের খবর, তপসিয়া, ট্যাংরা, তিলজলা- এই কয়েকটি এলাকায় আইন ভাঙার ছবিটা সবচেয়ে বেশি প্রকট। তবে এখনই কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটতে চাইছে না প্রশাসন। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, "কারও কারখানা বন্ধ করার পক্ষপাতী আমরা নই, তাই আমরা প্রথমে নোটিস ধরাব। আইন মোতাবেক কারখানা না চালালে আইন রয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার।'' আগুন লাগলে অনেক সময় পর্যাপ্ত জল না পাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয় দমকল বিভাগকে। তাই পুরসভার সাহায্য নিয়ে এবার ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ওয়াটার স্পাউট তৈরিতে জোর দিচ্ছে দমকল বিভাগ।
আরও পড়ুন: Abhijit Ganguly: 'কোন জাদুকরের ছোঁয়ায় ওএমআর শিটে নম্বর বিকৃতি?' প্রশ্ন বিচারপতির