Mousuni Island: মৌসুনি দ্বীপে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে অঘটন, সমুদ্রে তলিয়ে গেল বিধান নগরের যুবক
Bidhannagar boy drowned in the sea: বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে বাড়ি ফেরা হল না। মৌসুনি দ্বীপে সমুদ্রের তলিয়ে গেল বিধান নগরের এক যুবক।
জয়দীপ হালদার এবং রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে মৌসুনি দ্বীপে (Mousuni Island) সমুদ্রের তলিয়ে গেল এক যুবক। মৃতের নাম সন্দীপ সাউ (Sandip Sahu)। বয়স ২৪ । শুক্রবার সকালে তিন বন্ধুর সঙ্গে মৌসুনি দ্বীপে বেড়াতে যায় বিধান নগর থানা (Bidhannagar Police station Area) এলাকার তিন বন্ধু।
আরও পড়ুন, কোভিডের গ্রাসে মেডিকেল কলেজের হস্টেল ! সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ল মালদায়
জলের টানে তলিয়ে যায় বিধান নগর থানা এলাকার সন্দীপ, কী করছিল বন্ধুরা ?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুরে তিন বন্ধু সমুদ্রের জলে স্নান করতে নামে। কিছুক্ষণের মধ্যেই জলের টানে তলিয়ে যায় সন্দীপ। পরে অন্য দুই বন্ধুর চেঁচামেচিতে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা উদ্ধার করে সন্দীপকে। পরে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশ স্থানীয়দের উদ্যোগে নামখানার দাড়িগনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে। তবে এই ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। মৌসুনি দ্বীপে পাড়ি দেওয়া ওই তিন বন্ধুর বাড়িতে কতটা জানতো তাঁদের এই ঘুরতে যাওয়া নিয়ে, কেন তাঁদের সঙ্গে কোনও বড় কেউ যায়নি, অভিভাবকের প্রতিক্রিয়াই বা কী, উঠে আসছে, এই প্রশ্ন। পাশাপাশি মৃত সন্দীপ সাউয়ের পরিবারের প্রতিক্রিয়ার উপর গোটা ঘটনাটার অনেকটাই দাঁড়িয়ে আছে। যদিও ময়নাতদন্ত হলেই এই ঘটনার প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে বলে অনুমান করা হয়েছে।
ওই তিন বন্ধুর মধ্যে সম্পর্ক কেমন ছিল ?
প্রসঙ্গত, একুশ থেকে বাইশের মাঝে এর আগেই একাধিকবার সমুদ্রে নেমে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এবং সবচেয়ে বড়কথা এই বিধানগর থেকেই সমুদ্রে ঘুরতে বেরিয়ে হোটেলের বারান্দা থেকে পড়ে গিয়ে যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সেইবার যুবকের বাবা, বাকিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন। তদন্তে নেমেছিলেন সমুদ্র এলাকার পুলিশ প্রশাসন। তবে এখনও পর্যন্ত এমন অভিযোগ আনা হয়নি মৌসুনি দ্বীপে যাওয়ার মৃতের পরিবারের তরফে। প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয়দের মতামত নিয়ে এবং ওই মুহূর্তে ঠিক কী অবস্থান ছিল, তাও জানতে চাওয়া হতে পারে। পাশাপাশি বিধান নগর থানা এলাকার ওই তিন বন্ধুর মধ্যে সম্পর্ক কেমন ছিল, তাও খতিয়ে দেখতে পারে পুলিশ।