Muhammad Yunus : 'শীতে গেলে সঙ্গে যাবে সীতাভোগ-মিহিদানা', বর্ধমানে মহ. ইউনূসের শ্বশুরবাড়িতে খুশির হাওয়া
Burdwan News : খুশির হাওয়া এপার বাংলার বর্ধমানে। কারণ, এখানকার রানিগঞ্জ বাজারের কাছে লস্করদিঘি পশ্চিমপাড়ায় মহম্মদ ইউনূসের শ্বশুরবাড়ি।
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান : বাংলাদেশের কৃতী সন্তান মহম্মদ ইউনূসের ওপরই এখন দেশের শাসনভার। মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ থেকে প্রথম নোবেলজয়ী তিনি। ইউনূসই এবার নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারকে। তবে ওপার বাংলার কৃতী সন্তান হলেও, এপার বাংলার সঙ্গেও ইউনুসের যোগাযোগ বরাবরই অত্যন্ত নিবিড়। এ পার বাংলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে তিনি তো সম্মানিত হয়েইছেন, কিন্তু তার থেকেও গভীর যোগ রয়েছে তাঁর বাংলার সঙ্গে।
একদিকে যখন ওপার বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে এখনও উদ্বেগ কাটছে না দিল্লির, তখন খুশির হাওয়া এপার বাংলার বর্ধমানে। কারণ, এখানকার রানিগঞ্জ বাজারের কাছে লস্করদিঘি পশ্চিমপাড়ায় মহম্মদ ইউনূসের শ্বশুরবাড়ি। বর্তমানে এখানেই সপরিবারে থাকেন তাঁর ছোট শ্যালক আশফাক হোসেন।
মহম্মদ ইউনূসের স্ত্রী আফরোজি ইউনূস। তাঁরা ৬ ভাই-বোন। বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস হাইস্কুলে পড়াশোনা করেছেন আফরোজি। তারপর বর্ধমান রাজ কলেজ। তারপর পদার্থবিদ্যায় PHD করেন। বাংলাদেশে গিয়ে ঢাকার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। ঢাকায় থাকাকালীন বিয়ে হয় মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে।
২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পান মহম্মদ ইউনূস। তার আগে ও পরে, একাধিকবার বর্ধমানের শ্বশুরবাড়িতে এসেছেন তিনি। সেখানে থাকেন তাঁর ছোট শ্যালক। আসফাক হোসেন জানালেন, দিদি বরাবরই ছিলেন খুবই মেধাবী ছাত্রী। ঢাকাতেই মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও বিয়ে। সেই দিদি এখন যদিও অসুস্থ।
আসফাক জানালেন, বড় সাধারণ জীবনযাপন করেন ইউনূস। খেতে ভালবাসলেও , সব খাবারই খান অল্প অল্প করে। শ্যালক জানালেন, শীতে জামাইবাবুর বাড়ি গেলে অবশ্যই বর্ধমানের সীতাভোগ , মিহিদানাও যাবে। বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর তীব্র হয়েছে হিংসা। সংখ্যালঘুদের উপর পাশবিক নির্বাচনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু তার মধ্যেও শ্যালক আসফাকের আশা, ভারত - বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কোন পথে এগোয়, সেটাই আসল।
আত্মীয়তার সম্পর্ক তো বটেই , ইউনুসের সঙ্গে বাংলার কর্মসূত্রে যোগও বহু পুরনো। প্রেসিডেন্সির ২০০ বছরের অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের এসেছিলেন তিনি। এছাড়াও খড়গপুর আইআইটিতেও এসেছিলেন মহম্মদ ইউনুস। এবার সেই মানুষটিই যখন প্রচন্ত অশান্ত সময়ে প্রতিবেশী দেশের দায়িত্ব নিলেন, তখন পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার আশা তো থাকবেই।
ইউনূসের শপথ গ্রহণের পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । লিখেছেন, ‘সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন’। এখন সেই আশা ইউনূস রাখতে পারেন কি না , সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন