Municipal Election Counting : কয়েক ঘণ্টা পরেই 'পুর' রেজাল্ট-আউট, ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা গণনাকেন্দ্রগুলিতে
গণনাকেন্দ্রে রয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।একেবারে বাইরে প্রথম স্তরে থাকছে লাঠিধারী পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স। দ্বিতীয় স্তরে প্রবেশ করতে গেলে সাদা কাগজ ও পেন ছাড়া কিছুই সঙ্গে রাখা যাবে না।
কলকাতা : পরীক্ষা শেষ। এবার রেজাল্টের অপেক্ষা। মাঝে আর কয়েক ঘণ্টা। তারপরই রাজ্যের ১০৭টি পুরসভার ভোট গণনা (Municipal Election Counting)। কড়া নিরাপত্তায় মোড়া রয়েছে স্ট্রং রুমগুলি (Strong Room)। গণনাকেন্দ্রগুলিতে রয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ভোট গণনা শুরু হবে সকাল ৮টা থেকে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ১০৭টি পুরসভার জন্য ১০৭টি কেন্দ্রে গণনা হবে। আপাতত স্ট্রং রুমে তালাবন্দি ইভিএম। নিরাপত্তার বজ্রআঁটুনিতে রয়েছে ভোটযন্ত্র। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, গণনাকেন্দ্রে রয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।একেবারে বাইরে প্রথম স্তরে থাকছে লাঠিধারী পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স। দ্বিতীয় স্তরে প্রবেশ করতে গেলে সাদা কাগজ ও পেন ছাড়া কিছুই সঙ্গে রাখা যাবে না। সংবাদ মাধ্যমের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকছে দ্বিতীয় বলয়ে। এরপর থাকছে তৃতীয় বলয়। স্ট্রং রুমের পাশেই গণনা কেন্দ্র। এই বলয়ে রাজ্য সরকারের সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী মোতায়েন থাকবে। গণনা কেন্দ্রের ভিতরে রিটার্নিং অফিসার ছাড়া আর কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। প্রত্যেক গণনা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।
সর্বনিম্ন ২ থেকে সর্বোচ্চ ১৮ রাউন্ড পর্যন্ত গণনা চলবে। ফল ঘোষণার পর জয়ী দল বিজয় মিছিল করতে পারলেও, একইসঙ্গে এনিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। তিনি জানিয়েছেন, বিজয় মিছিলে ছাড় থাকলেও, কোনওরকম অশান্তি বরদাস্ত করবে না পুলিশ। এদিকে, মঙ্গলবার দক্ষিণ দমদম ও শ্রীরামপুর পুরসভার দু’টি ওয়ার্ডের দু’টি বুথে পুনর্নির্বাচন হয়। দিনহাটা পুরসভা ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিকে, গত রবিবারে হয়ে যাওয়া পুরভোটে (Municipal Election 2022) সন্ত্রাসের (Violence) অভিযোগ তুলে সোমবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ ডেকেছিল বিজেপি (BJP)। একই অভিযোগ তুলে পথে নামে বাম-কংগ্রেস (Left Parties-Congress)। সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (West Bengal State Election Commission) সামনে বিক্ষোভ দেখায় দুই দল। কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে তারা। যদিও, এসবে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল (TMC)।
আরও পড়ুন- খবর করতে গিয়ে প্রহৃত, উত্তর দমদমে রক্তাক্ত এবিপি আনন্দের দুই প্রতিনিধি